চলতি বছর পবিত্র রমজান মাসে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে সবজির বাজার যেন স্বস্তি দিয়েছে ভোক্তাদের। অর্থাৎ রমজান এলেই বাজারে মূল্যবৃদ্ধির যে প্রবণতা তৈরি হয়, এবার তা আগের মতো দেখা যায়নি।

ব্যতিক্রম শুধু লেবু, শসা, বেগুন ও সয়াবিন তেল। রোজার শুরুতে এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়ে গেলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে তা কমে এসেছে।

কৃষক, ব্যবসায়ী, পাইকার ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর শীত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই রোজা শুরু হয়েছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজ, আলু, বেগুন, শসা প্রভৃতি সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এ কারণে দাম বাড়েনি। আবার মুরগি ও গরুর মাংস বা ডিমের দামও কম রয়েছে। অন্যদিকে, চিনি, খেজুরসহ কিছু আমদানি পণ্যে সরকার শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দেওয়ায় এসব পণ্যের দামও স্থিতিশীল বা কমতির দিকে ছিল।

দামের পার্থক্য কতটা

গত বছর রোজা শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ, তবে রোজার মাসটা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য অতটা স্বস্তির ছিল না। ওই সময় কোনো কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল। যেমন পেঁয়াজ। গত রমজানে একপর্যায়ে পেঁয়াজের দাম উঠেছিল কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পরে অবশ্য সেটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমে আসে। অথচ এ বছর ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে।

ইফতারের সময় বেগুনির চাহিদা অনেক বেশি থাকে। বাড়তি এ চাহিদার সুযোগে ব্যবসায়ীরা গত বছর বেগুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গত বছর রোজায় বেগুনের দাম এক শ টাকা ছাড়িয়ে যায়। রোজার শেষের দিকে অবশ্য তা কমে আসে। শসার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। প্রতি কেজি শসার দাম ওঠে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও লেবুর হালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর আলুর কেজি ছিল ৪০ টাকার আশপাশে। সে তুলনায় এ বছর এসব পণ্যের দাম বেশ কম।

চলতি বছর বাজারে সবজির পণ্যের দাম অনেকটাই সহনীয়। যেমন চলতি রমজানের শুরু থেকেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটি ২০২৩ সালের দামের প্রায় সমান। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা আর টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মৌসুম না হওয়ায় রোজার শুরুতে লেবুর দাম সাধারণ মানুষকে ভুগিয়েছে। এভাবে শসা ও বেগুনের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল, পরে অবশ্য সে দাম কমেছে।

কেন দাম কম

কৃষক, ব্যবসায়ী, পাইকার ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বেগুন, শসা, আলু ও পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। এমন সময় রোজা চলে এসেছে। রোজার সময় এসব পণ্যের বাড়তি চাহিদা থাকে। কিন্তু এবার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় বাড়তি চাহিদা দাম বাড়াতে পারেনি।

অবশ্য যেসব পণ্যের সরবরাহ কম, সেগুলোর দামে বাড়তি প্রবণতা দেখা যায়। যেমন লেবু ও করলা। রোজার আগে বাজারে এক হালি লেবু ২০ থেকে ৪০ টাকায় কেনা যেত। বর্তমানে লেবুর দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকা। ভালো মানের লেবুর দাম ১০০ টাকার ওপরও আছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে লেবু কম বিক্রি করছি। কারণ, লেবু বিক্রিতে লাভ কম, ঝামেলা বেশি।’

দেশে সবজি পণ্যের অন্যতম পাইকারি স্থান বা মোকাম হচ্ছে বগুড়া। এই জেলার রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর আলু, পেঁয়াজ ও বেগুনের মতো পণ্যের দাম সহনীয় রয়েছে। এর কৃতিত্ব ব্যবসায়ী বা প্রশাসন কারও না, বরং কৃষকের। এ বছর কৃষকেরা পর্যাপ্ত উৎপাদন করেছেন। এ জন্য বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে, ফলে দামও কম।

বগুড়ার আরেক মোকাম মহাস্থান বাজারের আড়তদার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছর এ সময় অর্থাৎ রোজা আসার আগে বাজার থেকে শসা উধাও হয়ে যেত। কাঁচামরিচ ও বেগুনের একই অবস্থা হতো, এবার সেটি হয়নি। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় কেউ মজুত করারও সাহস করছেন না। মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, ২০২৬ সালের রোজা শীত মৌসুমের দিকে আরও এগিয়ে আসবে। ফলে আগামী বছরও এসব পণ্যের দাম অনেক কম থাকবে।

চিন্তায় কৃষকেরা

এদিকে দাম কম থাকায় সাধারণ ভোক্তারা স্বস্তিতে থাকলেও চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা। তাঁদের কথা—এ বছর তাঁরা বেশি লাভ পাবেন না; কেউ কেউ লোকসান করতে পারেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জের গণেশপুর গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান এ বছর বেগুন চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর এমন সময়ে খেত থেকে প্রতি মণ বেগুন ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। এ বছর প্রথমে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বেগুন বিক্রি করি। পরে দাম আরও কমে যায়। দুই দিন ধরে প্রতি মণ বেগুন ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’

জিল্লুর রহমান বলেন, রোজার বিক্রি ধরতে সবাই (কৃষক) একসঙ্গে খেত থেকে বেগুন তুলেছেন। এতে দাম পড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত লস (লোকসান) হয়নি, লাভও হয়নি। তবে অন্যান্য বছর রোজার সময় বেগুনের যে ভালো দাম পাওয়া যেত, এবার সেটি হয়নি।

‘পানির দরে’ পেঁয়াজ

পেঁয়াজের চাষিরা জানিয়েছেন আরও হতাশার কথা। গত বছরগুলোতে রমজান মাসে চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেলেও এবার বিক্রি হচ্ছে একেবারেই কম দামে। কৃষকেরা এই দামকে ‘পানির দর’ বলছেন।

দেশে পেঁয়াজের অন্যতম উৎপাদনস্থল পাবনা। এই জেলার কৃষকেরা এ বছর প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাইকারিতে ২২ থেকে ২৭ টাকা ও প্রতি কেজি হালি পেঁয়াজ ২৭ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবার প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদনে ৪১ থেকে ৪২ টাকা ও হালি পেঁয়াজের উৎপাদনে ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ কৃষকের পেঁয়াজ এখন লোকসানে বিক্রি হচ্ছে।

গত বছর রমজানে পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পরে দাম কমলেও সেটি ৬০ থেকে ৭০ টাকার ওপর ছিল। পাবনার পেঁয়াজের ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর পেঁয়াজের বাজার চড়া ছিল। কৃষকেরাও ভালো লাভ করেছেন। তাই ভালো লাভের আশায় এ বছর কৃষকেরা আরও বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। গত কয়েক দিনে সাঁথিয়া উপজেলায় কৃষকের ঘরে প্রচুর মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠেছে। পাশাপাশি নতুন হালি পেঁয়াজও বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কম।

সাঁথিয়ার বোয়ালমারী হাটের পেঁয়াজের আড়তদার রাজা হোসেন বলেন, ‘এবার আমাগরে এলাকায় পেঁয়াজের আবাদ ম্যালা বেশি হইছে। সেই পেঁয়াজ একসঙ্গে বাজারে আসতে শুরু করিছে। তাই পেঁয়াজের দামে এমন ধস। কৃষক হাটে পেঁয়াজ বেচবার আইস্যা কাইন্দা বাড়ি ফিরতেছে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন—আনোয়ার পারভেজ, নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া এবং বরুন রায়, প্রতিনিধি, বেড়া, পাবনা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরবর হ স ব ভ ব ক ১২০ ট ক য় র সরবর হ দ ম অন ক ব যবস য় র রহম ন গত বছর আড়তদ র ন বল ন কর ছ ন দ ম কম ৪০ ট ক ৬০ থ ক অবশ য বছর প সবজ র বছর র এ বছর রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বসার দাবি উচ্ছেদ হওয়া হকারদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সম্প্রতি উচ্ছেদের শিকার হকাররা আবারও আগের জায়গায় বসার দাবি জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ভবনের ২ নম্বর কক্ষে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ ও ভুক্তভোগী হকারদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাশরুমচাষি ও ক্যাম্পাসে হকারদের কাছে মাশরুম সরবরাহকারী রুবি আক্তার। সঞ্চালনা করেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ঢাকা জেলার আহ্বায়ক শবনম হাফিজ। এতে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম, ঢাকা জেলা কমিটির সদস্য ইকবাল কবির ও আঁখি মনি এবং ভাসমান উদ্যোক্তা নুরুজ্জামান কমলসহ উচ্ছেদের শিকার কয়েকজন হকার।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শবনম হাফিজ। তিনি বলেন, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক হকার কাজ করতেন। গত অক্টোবরে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ এনে ডাকসুর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে অসংখ্য হকার বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে পড়েছেন।

শবনম হাফিজ আরও বলেন, এই মানুষগুলোকে উচ্ছেদের নামে হয়রানি করা হলো, জিনিসপত্র নষ্ট করা হলো। এই ক্ষতির জবাবদিহি চাই, ক্ষতিপূরণ চাই এবং তাঁদের যেন সসম্মানে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়, সেটি চাই। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ যেন তাঁদের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করে দেয়।

আয়োজকেরা বলেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ও ভুক্তভোগী হকাররা উচ্ছেদের পর নিজেদের কার কী পরিস্থিতি ও কীভাবে তাঁদের বর্তমান জীবন চলছে, তা জানতে একটি জরিপ পরিচালনা করছেন। এর আওতায় এ পর্যন্ত তাঁরা ৫০ জনের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছেন। এর মধ্য দিয়ে যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে, তা তুলে ধরার লক্ষ্যেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে রুবি আক্তার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময় স্বামীর গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চাহিদার ওপরই নির্ভর ছিল তাঁদের সংসার। হকার উচ্ছেদের পর সেই বাজার প্রায় হারিয়ে গেছে।

রুবি আক্তার বলেন, ‘একজন হকারের সঙ্গে আরও অনেকের আয় জড়িয়ে থাকে—সরবরাহকারী, পানিওয়ালা ও সবজিওয়ালা। একজনের আয় বন্ধ হলে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা চাই, হকারদের কাজের জায়গা আবারও ফিরিয়ে দেওয়া হোক, বসতে দেওয়া হোক আগের জায়গায়। তাতে আরও অনেক পরিবার বেঁচে যাবে।’

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, হকার উচ্ছেদ ডাকসুর দায়িত্ব নয়। এটি মানবিক বা ন্যায়সংগত কোনো পদক্ষেপ নয়। হকারদের সম্মানজনক ব্যবসার ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। এ বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা করা সম্ভব।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা অন্যায় ও অমানবিক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও কয়েকজন হকার নিজেদের বর্তমান সংকটের কথা জানান।

চার দফা সুপারিশ

অনুষ্ঠানে আয়োজকেরা চার দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো উচ্ছেদ করা হকারদের আগের কাজের জায়গায় ফেরার সুযোগ দেওয়া; কিছুদিন পরপর উচ্ছেদের নামে হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং যাঁরা এই নির্যাতন করেছেন, তাঁদের বিচার করা; প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা সিটি করপোরেশন বা নিজেদের সমবায় বা ট্রেড ইউনিয়নের পরিচয়পত্র ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা এবং কয়েক দফায় ভাসমান উদ্যোক্তাদের হাঁড়িপাতিল ও অন্যান্য যে মালামাল প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে গেছে, তা দ্রুত ফেরত দিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেপিএমে চার দিন বাদে ফের ‌‘ব্যালটের কাগজ’ ছাপা শুরু
  • নতুন মাদক এমডিএমবি জব্দ, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
  • কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে মাছের দাম
  • বাজারে বাড়তি পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বসার দাবি উচ্ছেদ হওয়া হকারদের
  • কম্পিউটার বাজারে র‍্যামের সরবরাহে ঘাটতি