নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে সমালোচিত নেইমার
Published: 11th, March 2025 GMT
ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপব, চোট, এই শব্দগুলো সব সময়ই একে অন্যের পরিপূরক। যার সবশেষ উদাহরণ নেইমার জুনিয়র। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার সান্তসের হয়ে একটা মহাগুরুত্বপূর্ণ নক-আউট ম্যাচে মাঠে না নেমে বেঞ্চে বসে ছিলেন। অথচ দিন কয়েক আগে নেইমারকে কার্নিভালে দেখা গিয়েছে। তাতেই সমালোচনা শুরু হয়।
রবিবার (১০ মার্চ, ২০২৫) সাও পাওলো রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে সান্তোস ২-১ ব্যধানে হেরে যায় করিন্থিয়ানসের বিপক্ষে। দল ম্যাচ হারছে অথচ স্কোয়াডে থাকা নেইমার গোটা ৯০ মিনিট বেঞ্চেই ছিলেন। পরে তিনি দাবি করেন যে তার একটি ছোটখাটো চোট ছিল।
২ মার্চ (২০২৫) সাও পাওলো রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের আরেকটি ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে পেশিতে অস্বস্তি অনুভব করেন নেইমার। অথচ এই চোট নিয়েই নেইমারকে দিন কয়েক আগে রিও ডি জেনেইরোর সাম্বাড্রোমের কার্নিভাল প্যারেডে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সেখানে যাওয়াতে সঠিক সময়ে সেরে উঠতে পারেননি। তাই করিন্থিয়ানসের বিপক্ষে সেফি মাইনালে খেলতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার
রিয়ালের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নেইমার
সান্তোস রবিবারের সেমিফাইনালের আগে নেইমারের চোটের ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। ম্যাচ হারের পর নেইমার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “আমি শুধু মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম এবং আমার সতীর্থদের কোনোভাবে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আমি অস্বস্তি অনুভব করেছিলাম, যা আমাকে মাঠে নামতে বাধা দিয়েছে। আমরা আজ সকালে একটি পরীক্ষা করেছি এবং আমি আবারও সেই অস্বস্তি অনুভব করেছি।”
সান্তোসের কোচ পেদ্রো কাইশিনহা বলেছেন, তিনি নেইমারকে চোট সত্ত্বেও বেঞ্চে বসতে অনুরোধ করেছিলেন, “শুধুমাত্র অস্বস্তি ছিল, তবে এর মানে ছিল ও (নেইমার) অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমার অনুরোধ ছিল এবং সে দলের সাথে থাকতে সম্মত হয়।”
জনপ্রিয় ফুটবল বিশ্লেষক ওয়াল্টার কাসাগ্রান্দে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিওতে বলেছেন, “সে সেমিফাইনাল বাদ দিয়ে কার্নিভাল বেছে নিয়েছে। নেইমারের গত পাঁচ-ছয় বছরের আচরণ ফিরে এসেছে। তিনি পেশাদার দিকটিকে উপভোগ এবং মজায় পরিবর্তন করেছেন।”
স্পেনের বিখ্যাত সংবাদপত্র মার্কা ব্রাজিলীয় খেলোয়াড়ের সম্পর্কে বলেছে, “নেইমারের সবচেয়ে দুঃখজনক সপ্তাহ, যেখানে তিনি কার্নিভালে উপস্থিত থেকে, বার্সেলোনা থেকে প্রত্যাখিত হয়ে, বেঞ্চে বসে এবং সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে কাটিয়েছেন।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
৮৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।