চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন এলাকায় রান্নাঘরের গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন ধরে নাসরিন আক্তার (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। নাসরিনের সঙ্গে আগুনে দগ্ধ হয়েছিল তাঁর তিন বছরের শিশুসন্তান আবদুল্লাহ আল তায়িফ। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নন্দনকাননের ৩ নম্বর গলির হোসেন মঞ্জিলে বাইরে থেকে এসে রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে যান নাসরিন আক্তার। এ সময় গ্যাসলাইনে লিকেজের কারণে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে নাসরিন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তিনি পানির জন্য দৌড়ে বাথরুমের দিকে ছুটে গেলে তখন তাকে জড়িয়ে ধরে দগ্ধ হয় শিশুসন্তান তায়িফও। পরে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে। অবস্থার অবনতি হলে নাসরিনকে রাতেই ঢাকার মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

কোতোয়ালি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক রবিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নারীর ৯০ শতাংশ আগুনে পুড়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। আজ সকালে তিনি মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম ‘জিরো’ বাজারে এনেছে ফকির টেকনোলজিস

‘জিরো’ ব্র্যান্ড নামে তিনটি ভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (বিইএসএস) বাজারে এনেছে ফকির ফ্যাশন ফ্যামিলির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ফকির টেকনোলজিস লিমিটেড’।

শিল্পকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গৃহস্থালির চাহিদা অনুযায়ী নকশা করা জিরো বিইএসএস সরাসরি সোলার এবং গ্রিড পাওয়ারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার সক্ষমতা রাখে। এটি নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ নিশ্চিত করে, ডিজেল জেনারেটরের ওপর নির্ভরতা কমায় এবং কার্বন নিঃসরণ, শব্দদূষণ, রক্ষণাবেক্ষণ খরচকে উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা নিশ্চিত করে।

প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো ফকির ফ্যাশন লিমিটেডে ১ মেগাওয়াট জিরো বিইএসএস স্থাপন করে বাংলাদেশের শিল্প খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এ ব্যাপারে ফকির টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের এই নতুন সংযোজন জিরো বিইএসএসের সক্ষমতাই প্রমাণ করে না; বরং শিল্প খাতে বিদ্যুৎ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে এক নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। আমাদের অভিজ্ঞতায় ১ মেগাওয়াটের এই জিরো বিইএসএসটি বছরে ৬৬১ টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে সক্ষম, যা নির্দ্বিধায় এ মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ