নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা ও চোখ–মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম ওরফে দিদার গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি মরিচপুর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। তখন পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের কালিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় হাত–পা ও চোখ–মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই হাসান মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের জ্ঞান ফিরে এসেছে। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না। কীভাবে এমন হলো, তা তিনি এখনো বলতে পারছেন না। তবে আমরা ধারণা করছি, গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমার ভাইয়ের বিপক্ষের কিছু লোক তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

জোবায়েদ হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চিফ মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জবিয়ানের রক্ত, বৃথা যেতে পারে না’, ‘প্রশাসনের কালো হাত, ভেঁঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মিছিলে থাকা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, ‘আমরা জোবায়েদের হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কোনো রকমের টালবাহানা মেনে নেব না। আর্থিক লেনদেন কিংবা কোনো প্রভাব খাটিয়ে যদি আইনকে কুক্ষিগত করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন করবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জোবায়েদের খুনিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন অনেক কিছু আড়াল করে রেখেছে, জোবায়েদের প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে।

গত রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুনএক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: পুলিশ২ ঘণ্টা আগে

জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ভাই এনায়েত হোসেন আজ বেলা ১১টার দিকে বংশাল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বংশাল থানা–পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ