জুলাই অভ্যুত্থানে তিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
Published: 14th, March 2025 GMT
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে মো. হোসাইন (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১০–এর গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হোসেন সরদার আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কোটাবিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন পরে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
এর অংশ হিসেবে গত ১৭ জুলাই রাজধানী যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণির নেতা–কর্মী এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার হামলা চালায়। তারা সাইদুল ইসলামসহ তিনজনকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। সাইদুলসহ তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা পরে মারা যান। ওই ঘটনায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সাইদুলের মা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জানতে পেরে আসামি হোসাইনসহ অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ এলাকায় তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয় এবং পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। হোসাইন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর টানপাড়ায় থাকতেন। তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।