কুমারখালীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
Published: 17th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তেল ও ডাল জাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল ফসলের বীজ ও সার বিতরণের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি কার্যালয়।
বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। অনু্ষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরে তিল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২০০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে এক কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়। এছাড়াও মুগ ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য ৫০ জন কৃষক বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন।
এদিকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে ব্যাপক খুশি কৃষকরা। এ বিষয় চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষক কামাল হোসেন বলেন, টাকা ছাড়াই ৫ কেজি মুগের বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দিয়েছেন সরকার। দেড় বিঘা জমিতে চাষ করব। এভাবে বিনামূল্য বীজ - সার পেলে ভবিষ্যতে এ চাষ বৃদ্ধি করার প্রত্যাশা তার।
জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল মণ্ডল বলেন, দিন দিন তেলের দাম বাড়ছে। সেজন্য তিল ফসলের চাষ করব। সরকারিভাবে এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পেয়েছি। এতে আমরা খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম জানান, তেল ও ডাল জাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ ব তরণ ব জ ও স র ব তরণ ১০ ক জ উপজ ল ফসল র
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪