কোচ বলেই দিলেন, ফাহামিদুলের এখন আর দলে ফেরার সুযোগ নেই
Published: 19th, March 2025 GMT
ফাহামিদুল ইসলামকে ভারত ম্যাচের দলে ফেরানোর দাবিতে টিম হোটেলের বাইরে ফুটবল–সমর্থকদের বিক্ষোভ তখনো চলছে। এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন, এখন আর ফাহামিদুলকে ফেরানোর সুযোগ নেই।
যদিও গতকাল স্কোয়াড থেকে ফাহামিদুলকে বাদ দেওয়ার পর থেকে আন্দোলনে নামে আলট্রাসসহ বেশ কয়েকটি সমর্থক গোষ্ঠী। তাদের দাবি, যেভাবে ফাহামিদুলকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। কোচের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলাররাও।
সবশেষ গত রাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, ফাহামিদুলের বাদ পড়া ইস্যুতে আজ বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সে (ফাহামিদুল) প্রতিভাবান ফুটবলার। আমি তাকে দলে নেওয়ার আগেও অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি আবারও বলছি, তার আরও সময় প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য।হাভিয়ের কাবরেরা, কোচ, বাংলাদেশএত কিছুর মাঝে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ফাহামিদুলের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই কাবরেরা বলে দেন, ‘না, এখন আর তার দলে ফেরার সুযোগ নেই।’ তবে ফাহামিদুলকে বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘সে প্রতিভাবান ফুটবলার। আমি তাকে দলে নেওয়ার আগেও অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি আবারও বলছি, তার আরও সময় প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য।’
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামেন বিক্ষোভ করেছেন কিছু ফুটবলপ্রেমি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।