গেরউইগ সিএস লুইসের ক্লাসিক ফ্যান্টাসি উপন্যাসের মূল গল্প ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’স নেফিউ’র শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। এতে বিশ্বখ্যাত অভেনতা ড্যানিয়েল ক্রেগ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দেখা যাবে বলে জানা গেছে। গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত সিনেমা ‘বার্বি’র বিশাল সাফল্যের পর এটি তার পরিচালনার প্রথম প্রকল্প। সিএস লুইসের ফ্যান্টাসি উপন্যাস সিরিজের কমপক্ষে দুটি রূপান্তর করার জন্য নেটফ্লিক্সের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রথম সংযোজন।
১৯৫৫ সালে প্রকাশিত, দ্য ম্যাজিশিয়ান’স নেফিউ লুইসের সাত-উপন্যাস সিরিজের মধ্যে ষষ্ঠ। তবে কালানুক্রমিকভাবে এটি প্রথম। এটি বিখ্যাত ‘দ্য লায়ন, দ্য উইচ অ্যান্ড দ্য ওয়ারড্রোব’র গোড়ার গল্প হিসেবে বিবেচিত এবং আসলান সিংহের ‘নার্নিয়া’ সৃষ্টির ঘটনা বর্ণনা করে। ডিগরি এবং পলি দুই সন্তান উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। যেখানে ডিগরির চাচা অ্যান্ড্রুও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জল্পনা চলছে যে ক্রেগ অ্যান্ড্রু অথবা আসলানের চরিত্রে অভিনয় করবেন।
ডেডলাইন অনুসারে, ক্রেগকে সিনেমায় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রাখার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সিনেমাটি আগামী বছর মুক্তি পাওয়ার জন্য অপেক্ষমান। নেটফ্লিক্স কোন উপন্যাসটি রূপান্তরিত হচ্ছে তা নিশ্চিত না করলেও, এটি ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’স নেফিউ’ বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেসে এটি গারউইগের পরবর্তী কর্মযজ্ঞ হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
নেটফ্লিক্স ২০১৮ সালে নার্নিয়া সিরিজের চলচ্চিত্র এবং টিভি অভিযোজন তৈরির স্বত্ব কিনে নেয় এবং এটিই প্রথমবারের মতো সাতটি বইয়ের স্বত্ব একক কোম্পানির হাতে রয়েছে। লুইস নিজে বইগুলির স্ক্রিন স্বত্ব বিক্রি করেননি, তিনি  বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বাসযোগ্য মঞ্চায়ন করা সম্ভব নয়। তার সম্পত্তির পরে ওয়াল্ডেন মিডিয়ার সাথে একটি অধিকার চুক্তি হয় যা ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ‘দ্য লায়ন, দ্য উইচ অ্যান্ড দ্য ওয়ারড্রোব’, ‘প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান’ এবং ‘দ্য ভয়েজ অফ দ্য ডন ট্রেডার’ মুক্তি পায়। তবে, ডন ট্রেডার বক্স অফিসে লড়াই করার পরে চুক্তিটি শেষ হয়ে হলে তার উত্তরাধিকারীরা অন্যত্র এটি প্রদানের পথ খুঁজতে শুরু করেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপন য স

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।” 

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ