নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক পরি¯ি’তিতে স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকায় ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৬’শ পরিবারের মাঝে ঈরে আনন্দ পৌছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিএনপি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।

আগামিতে একটা নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে । আমরা আশা করি আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার আগে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা মানুষরে পাশে থাকতে ও রাখতে চাই।

আপনারা দেখেছেন শীতের সময় আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি ঈদের সময় আপনাদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছি। গত ১৫ বছর আমরা খুবই দুঃখ কষ্টে ছিলাম তারপর ও আমরা জনগণদের ছেড়ে যাইনি।

৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে ও ছত্রদল নেতা মেহেদী হাসান ফারহানের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, নাসিক ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি হারুন মাস্টার, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিন্না, যুগ্ম-সম্পাদক নুর হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তরুন দলের সাধারণ সম্পাদক মহারজ, যুবদল নেতা মাইনুদ্দিন, রাকিব প্রধান, আমির হোসেন, ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ, হানজালা, আসিফ, মনির হোসেন, রাহিম, আলি আজম, তনু পাগলা ও সেলিম প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই আমাকে ভার্সেটাইল অভিনেতা বলেন, কিন্তু কাজ দেয় না: রুদ্রনীল

ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। রুপালি পর্দার অনেক কাজ দিয়ে নিজেকে বহুবার প্রমাণ করেছেন। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন, কর্মহীন হয়ে পড়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কাজও চেয়েছিলেন এই অভিনেতা।

কয়েক দিন আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে ‘ভার্সেটাইল’ অভিনেতা বলা হয়। তবু অনেক অভিনেতা আরো বেশি জনপ্রিয়তা উপভোগ করেন। কেবল তাই নয় অনেক বেশি কাজও পান। ৫২ বছর বয়সে, এটা কি আপনাকে হতাশ করে, নাকি ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা আপনাকে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নিতে শিখিয়েছে?

আরো পড়ুন:

আমার যদি কিছু হয়, তার দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ সরকার নেবে, প্রশ্ন শ্রীলেখার

শাকিবের নায়িকা হতে ইধিকার ৩৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দাবি?

এ প্রশ্নের জবাবে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “একসময় আমার ঈর্ষা হতো এবং নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করতাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে উপলদ্ধি করেছি, জনপ্রিয়তা সবসময় পারফরম্যান্সের প্রতিফলন নয়। কাউকে যদি ‘সুপার’ অভিনেতা বলা হয়, কিন্তু তিনি দর্শক টানতে না পারেন, তাহলে সেটাই সব বলে দেয়। আগে খারাপ লাগত, যখন মিডিয়া এমন অভিনেতাদের পেছনে ছুটত এবং আমাদের মতো মানুষদের উপেক্ষা করত। কিন্তু এখন আর সেটা ভাবি না। অনেকে আছেন যারা প্রকাশ্যে আমার সঙ্গে কথা বলেন না। কিন্তু পরে ফোন করে নিজেদের গল্প শোনান। জীবন, তথাকথিত বন্ধুত্ব এই ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই।”

অভিনয়শিল্পীদের ‘মেগাস্টার’, ‘সুপারস্টার’, ‘টলি কুইন’ ইত্যাদি উপাধিতে ডাকা হয়, এ নিয়ে আপনার মতামত কী? জবাবে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলব—দর্শক নির্বোধ নন। আসল বিষয় হলো—গল্প এবং অভিনয়। ট্যাগ বা তকমা দিয়ে তাদের চিরকাল বোকা বানানো যায় না। গুণগতমান সবসময় প্রচারের চেয়ে বেশি কথা বলে। ধরুন, শিশুদের জন্য একটি হেলথ ড্রিংক তৈরি করা হলো, যার নাম ‘অশিম’। বিক্রি না হওয়ায় সেটিকে হঠাৎ ‘মহা অশিম’ নামে বাজারে আনা হলো। কিন্তু সেই পানীয় কেবল তখনই টিকবে, যখন এটি সত্যিই শিশুদের উপকারে আসবে। এটাই আমি বোঝাতে চাচ্ছি।”

২০১৬ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। তারপর থেকে শোনা যাচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বলা হয়, কিছু পরিচালক আপনাকে কাস্ট করতে চান না। কারণ কাস্ট করলে তাদের সিনেমা নন্দন বা অনুরূপ স্থানে না দেখানোর ভয় রয়েছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছেন? উত্তরে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমি বছরে মাত্র ১০–১৫ দিন কাজ করেছি। বেঁচে থাকার জন্য আমাকে নিজের গাড়ি ও বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে। বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও আমাকে কাজ দিতে পারেননি।”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “পাঁচ বছর ধরে, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে, স্নান করে, বাড়িতেই বসে থাকতে হয়। অথচ অভিনয়ই ছিল আমার জীবন, আর হঠাৎ সেটা থেমে গেল। কিন্তু আমি টিকে আছি; বাঁচার প্রবৃত্তিই আমাকে এগিয়ে নিয়েছে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ নেই। কিন্তু যারা বন্ধুত্বকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাদের নিয়ে দুঃখ আছে।”

“অভিনয় আমার ভালোবাসা আর রাজনীতি দায়িত্ব—দুটোই সমাজ পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। আমি ছাত্র রাজনীতির অংশ হয়ে বড় হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি কোনো কলঙ্ক নয়, বরং এক ধরনের কর্তব্য।” বলেন রুদ্রনীল।

শোনা যাচ্ছে, আপনি সৃজিত মুখার্জির পরের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন? এ বিষয়ে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “আশার কথা, আমি সৃজিতের পরবর্তী সিনেমার অংশ। মজার একটি চরিত্রের জন্য সে আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি এটা করিনি। কারণ আমার আগের কিছু কমিটমেন্ট ছিল। সৃজিত একমাত্র ব্যক্তি যার সিনেমার অংশ হলেও কে কী বলল তা সে তোয়াক্কা করে না।”    

পরিচালক রাজ চক্রবর্তী প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “রাজ কেন আমাকে ‘কাঠমান্ডু’ (২০১৫) সিনেমার পর আর কাস্ট করেননি, সেটা একমাত্র রাজই বলতে পারবে। আমরা তো একসময় স্ট্রাগল করেছি, সেই সময়ে রুমমেট ছিলাম, একই প্লেটে খেতাম, কারণ দুই প্লেট ভাত কেনার টাকাও ছিল না। আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন বিষয় হলো, আমার সেই বন্ধুরা, যারা একসময় আমাকে ভালোবাসত, তারাই এখন আমাকে কাজ দিতে পারে না।”

এর আগেও রুদ্রনীল ঘোষ টলিউডে ‘একঘরে’ হয়ে থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন, এমনকী তাকে কাজ দিচ্ছেন না প্রযোজকরা—এমন অভিযোগও করেছিলেন। তবে বারবার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বহু কলাকুশলী টলিউডে কাজ করছেন, সেখানে রাজনৈতিক দল বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বলে দাবি তৃণমূলের।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সবাই আমাকে ভার্সেটাইল অভিনেতা বলেন, কিন্তু কাজ দেয় না: রুদ্রনীল