ময়মনসিংহে আত্মীয়ের জানাজায় যাওয়ার পথে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
Published: 25th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় বৃদ্ধ এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চুরখাই বাজারের মোড়ে সড়ক পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ। নিহত দুজন হলেন আবদুল হেকিম (৮০) ও তাঁর স্ত্রী আজমলা খাতুন (৬৫)। তাঁরা ময়মনসিংহ সদরের পাড়াইল গ্রামের বাসিন্দা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দুইটার দিকে চুরখাই বাজারের মোড়ে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওই দম্পতিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা কাভার্ড ভ্যানটি আটকে ভাঙচুর করেন। তবে চালক পালিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আটকে দিলে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সড়কে চলাচলকারী মানুষ।
এদিকে বেলা পৌনে তিনটায় পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধীরে ধীরে সড়কে আটকে থাকা যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম বলেন, দুজন বয়স্ক মানুষ সড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির কাভার্ড ভ্যানটি তাঁদের চাপা দেয়। এই সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।