ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে খুশিতে মাতল অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ পুলবাজারে এই পোশাক বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন'। 

সংগঠনটির ঈদ পোশাক বিতরণ কর্মসূচি 'আনন্দ ঝিলিক-১' এর আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ও মিজমিজি এলাকার অর্ধশতাধিক মেয়ে শিশুকে ফ্রক-পায়জামা এবং ছেলেদের শার্ট-গেঞ্জি-প্যান্ট দেয়া হয়। 

পোশাক বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এসময় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, সংগঠনের সকল সদস্যদের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে পুরো আয়োজন।

অতীতের মত ভবিষ্যতেও সমাজে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাবে পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন।

আয়োজনে পিস ফর পিপলের প্রেসিডেন্ট মো.

তোফায়েল আহমেদ, সেক্রেটারি মো. আশিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মামুন প্রধান, ফান্ড রাইজিং সেক্রেটারি সোলাইমান আসিফ, প্রোগ্রাম সেক্রেটারি মো. আল-আমিন, অফিস সেক্রেটারি মাজহার ইমন, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমান ও শুভাকাঙ্ক্ষী সদস্য মো. সজীব উপস্থিত হয়ে শিশুদের মাঝে এই পোশাক বিতরণ করেন। 

২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ প শ ক ব তরণ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কেন ইরানি হামলার লক্ষ্যবস্তু হাইফা

ইরান-ইসরায়েলের হামলা পাল্টা-হামলায় সাম্প্রতিক সময়ে তেল আবিবের পরেই ইসরায়েলের যে শহরটির নাম সবচেয়ে বেশি এসেছে, সেটি দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ‘হাইফা’। শহরটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, হামলার পর শহরটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়েছে, শনিবার হাইফা ও তেল আবিব লক্ষ্য করে ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। যার মধ্যে অনেকগুলোই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করেছে ইরান। চ্যানেল টুয়েলভ, টাইমস অব ইসরায়েলসহ ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো হাইফায় বিস্ফোরণ ও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের খবর দিয়েছে।

ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় হাইফাকে কেন লক্ষ্যবস্তু করছে ইরান– এই প্রশ্নের উত্তরে ওয়াশিংটন পোস্টসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটির অবস্থান এই শহরে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারসহ আরও কয়েকটি তেল শোধনাগার ও বহু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক কারখানা হাইফায় অবস্থিত।  

হাইফা ইসরায়েলের প্রধান গভীর সমুদ্রবন্দর। কয়েক শতাব্দী ধরেই অঞ্চলটির অন্যতম প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাইফাকে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এখান থেকে পরিচালিত হয়। এমনকি দেশটির মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় অর্ধেকই হাইফা বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয় বলে জানিয়েছে তারা।

হাইফায় অবস্থিত নৌঘাঁটি, তেল শোধনাগার ও রাসায়নিক কারখানাগুলো তেল আবিবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। অঞ্চলটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে হাইফায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম মোতায়েনসহ নানা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। হাইফায় গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস অবকাঠামো থাকায় ইরানি হামলা প্রত্যাশিতই ছিল বলে উল্লেখ করেছে আলজাজিরা। 

আলজাজিরা জানিয়েছে, হাইফায় ইরানের হামলা ইঙ্গিত দেয়, তেহরান অঙ্গীকার অনুযায়ী পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এর আগে তেহরান বলেছিল, ইসরায়েল ইরানের বেসামরিক অবকাঠামো বা জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালালে তারাও একই রকম জবাব দেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ