ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে খুশিতে মাতল অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ পুলবাজারে এই পোশাক বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন'। 

সংগঠনটির ঈদ পোশাক বিতরণ কর্মসূচি 'আনন্দ ঝিলিক-১' এর আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ও মিজমিজি এলাকার অর্ধশতাধিক মেয়ে শিশুকে ফ্রক-পায়জামা এবং ছেলেদের শার্ট-গেঞ্জি-প্যান্ট দেয়া হয়। 

পোশাক বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এসময় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, সংগঠনের সকল সদস্যদের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে পুরো আয়োজন।

অতীতের মত ভবিষ্যতেও সমাজে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাবে পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন।

আয়োজনে পিস ফর পিপলের প্রেসিডেন্ট মো.

তোফায়েল আহমেদ, সেক্রেটারি মো. আশিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মামুন প্রধান, ফান্ড রাইজিং সেক্রেটারি সোলাইমান আসিফ, প্রোগ্রাম সেক্রেটারি মো. আল-আমিন, অফিস সেক্রেটারি মাজহার ইমন, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমান ও শুভাকাঙ্ক্ষী সদস্য মো. সজীব উপস্থিত হয়ে শিশুদের মাঝে এই পোশাক বিতরণ করেন। 

২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ প শ ক ব তরণ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ