Risingbd:
2025-11-03@16:55:01 GMT

সূর্যমূখীর হাসিতে হাসছে কৃষক

Published: 27th, March 2025 GMT

সূর্যমূখীর হাসিতে হাসছে কৃষক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যাপকহারে আবাদ হয়েছে সূর্যমূখী ফুলের। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তাই হাসি ফুটেছে প্রান্তিক কৃষকের মুখে। এ বছর সূর্যমূখীর বীজ থেকে ২৬ কোটি টাকার তেল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

পটুয়াখালীর টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম (৩৫) এ বছর প্রথমবারের মতো ব্র্যাকের সহযোগিতায় শুরু করেছেন সূর্যমূখীর আবাদ। হাইচান ৩৩ জাতের বীজ সংগ্রহ করে ৬৬ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছেন। সঠিক পরিচর্যায় তার ক্ষেতে এখন হলুদের সমারোহ। বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তার মুখে। 

শুধু রাবেয়া বেগমই নয়, সরকারী সহযোগিতা এবং এনজিওর সহায়তায় উপজেলার ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষক ১৭৬৩ হেক্টর পতিত জমিতে চাষ করেছেন সূর্যমূখীর। অধিকাংশ কৃষকই পেয়েছেন বাম্পার ফলন। এসব সূর্যমূখীর বীজ থেকে সাড়ে ১১ লক্ষ লিটার তেল উৎপাদন এবং ২৬ কোটি টাকা বিক্রির আসা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাই নতুন নতুন অনেক কৃষক উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন সূর্যমূখী চাষে। 

বিগত বছরগুলো এসব জমি আমন চাষাবাদের পর অনাবাদী থাকত বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। 

রাবেয়া বেগম বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো সূর্যমূখীর আবাদ করেছি। ব্র্যাক থেকে সার বীজ পেয়েছি। আমার জমিতে ফলন বেশ ভালো হয়েছে।” 

একই এলাকার অপর কৃষক মোসেলম উদ্দিন বলেন, “দুই বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করেছি। ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আশা করছি ৫০ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করতে পারব। ব্র্যাক থেকে বীজ, সার এবং পরামর্শ পেয়ে সূর্যমূখী চাষে উদ্ধুদ্ধ হয়েছি।”

ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তর কর্মসূচির পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, “পতিত লবণাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এ উপজেলার ১২০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ, বীজ ও সার প্রদান করেছি। এছাড়া মাঠে আমাদের কর্মকর্তারা তদারকী করেছে। সে কারণে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আমাদের কৃষকরা পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করেছে। আশা করছি ১৬ কোটি টাকার তেল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা।”

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন

ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।    

কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।

এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।  

সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই