সাইফের ওপর হামলা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত শরিফুলের জামিন আবেদন
Published: 30th, March 2025 GMT
গত ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে বলিউড সুপারস্টার সাইফ আলী খানের ওপর হামলা করেছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, এই তারকার বাসায় চুরি করার উদ্দেশ্যে ঢুকেছিলেন সেই ব্যক্তি। কিন্তু সাইফ বাধা দেওয়ায় আততায়ী তাঁকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। সাইফের ওপর হামলার অভিযোগে বান্দ্রা পুলিশ শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত বাংলাদেশ নিবাসী। শরিফুল মুম্বাই সেশন কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দী আছেন শরিফুল। গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস পর অভিযুক্ত জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। শরিফুল তাঁর আইনজীবী অজয় গাওলির মাধ্যমে আদালতের কাছে এক আবেদনপত্র পেশ করেছেন।
এই আবেদনপত্রে শরিফুল দাবি করেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। আর তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে এই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে। এই আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে যে শরিফুল তদন্তে পুরোপুরি সাহায্য করেছে। আর এফআইএর ভুয়া বলে আবেদনপত্রে দাবি করা হয়েছে। আইনজীবী জানিয়েছেন যে কল রেকর্ডিং এবং সিসিটিভির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি প্রসিকিউশন আগে থেকে নিয়ে নিয়েছেন। আর তাই প্রমাণের সঙ্গে কাঁটাছেড়া করা বা সাক্ষীকে প্রতারণা করার মতো ভয় নেই।
আরও পড়ুনসাইফের হামলাকারীকে বান্দ্রা স্টেশনে দেখা গেছে, পুলিশের ৩৫টি দল অভিযানে১৭ জানুয়ারি ২০২৫গভীর রাতে হামলা করা হয়েছিল বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও নিরপরাধ দাবি হিটু শেখের, ভিন্ন কথা সাক্ষীদের
আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মাগুরায়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিনও মামলার প্রধান আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ আদালত কক্ষে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন। কিন্তু আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষীরা প্রত্যেকে হিটু শেখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার ছিল এই মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ। সেদিনও শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় হিটু শেখ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন।
গতকাল কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হিটু শেখসহ ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, গত তিন কার্যদিবস টানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। গতকাল ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, আছিয়ার বোন হামিদা ছিলেন। এ নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আজ বুধবার মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাক্ষ্য দেবেন। গতকাল আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গতকালও আদালত কক্ষে ঢোকার আগে হিটু শেখ ঘটনার জন্য তাঁর পুত্রবধূ আছিয়ার বোনকে দায়ী করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হিটু শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমিসহ আমার দুই ছেলে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাইরে যাওয়ার সময়ও আছিয়াকে সুস্থ দেখে গেছি। আছিয়ার বোন এ সময় একাই বাড়িতে ছিল। সাংবাদিকরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। দোষী হলে যে শাস্তি হয়, মাথা পেতে নেব।
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। ঢাকা সিমএমএইচে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।