কবিরহাটে বিনোদনকেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের হামলা, পুলিশসহ আহত ৭
Published: 2nd, April 2025 GMT
নোয়াখালীর কবিরহাটে শিরিন গার্ডেন নামে একটি বিনোদনকেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এক পুলিশসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছেন বিনোদনকেন্দ্রে আসা নারী ও শিশুসহ দুই থেকে ৩ শতাধিক দর্শনার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য সুন্দলপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিনোদনকেন্দ্রের মালিক সিদ্দিকী নাছির উদ্দিন জানান, প্রতি বছর ঈদের সময় স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাং বিনোদনকেন্দ্রে এসে হাঙ্গামা করে দর্শনার্থীদের ইভটিজিং, মুঠোফোন ও টাকা ছিনতাই করে। প্রতি বছরের ন্যায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য পৃথক পৃথকভাবে বিনোদনকেন্দ্রে প্রবেশ করে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে বিনোদন কেন্দ্রে থাকা কর্মচারী ও পুলিশ তাদের বের করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর কিশোর গ্যাংয়ের ২০-৩০ জন সদস্য পুনরায় সংঘটিত হয়ে বিনোদনকেন্দ্রে প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুর শুরু করে। পরবর্তী সময়ে তারা বিনোদনকেন্দ্রের ক্যাশে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় এক পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে এসে আহত হন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি। অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইতোমধ্যে হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিনোদনকেন্দ্রের মালিক নিরাপত্তার ভয়ে কারো নাম উল্লেখ করে কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত ব ন দনক ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে
ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।