রামনবমীর মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তাবলয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
Published: 2nd, April 2025 GMT
ভারতজুড়ে আগামী রোববার পালিত হবে রামনবমী উৎসব। উৎসব ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে যাতে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত না হয়, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেউ বিজেপির উসকানিতে পা দেবেন না। রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা খর্ব করবেন না।
বিজেপি শান্তি বিঘ্নিত করতে চায় অভিযোগ করে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, বিজেপি উসকানি দিতে চেষ্টা করবে। তাই মিছিল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে যেন কোনো আঘাত না আসে, রাজ্যবাসীকে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা শহরের চিৎপুর এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর মিছিলে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কলকাতার সর্বত্র রামনবমীর মিছিলে শরিক হতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না।
আজ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যের ‘ভুতুড়ে’ ভোটারদের নাম বাতিলের দাবিতে এক প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। কলকাতার মুরলি ধর সেন লেন থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে কোনো অবাঙালি ভোটারের নাম যাতে বাদ দেওয়া না হয়, সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।