ভারতজুড়ে আগামী রোববার পালিত হবে রামনবমী উৎসব। উৎসব ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে যাতে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত না হয়, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেউ বিজেপির উসকানিতে পা দেবেন না। রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা খর্ব করবেন না।

বিজেপি শান্তি বিঘ্নিত করতে চায় অভিযোগ করে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, বিজেপি উসকানি দিতে চেষ্টা করবে। তাই মিছিল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে যেন কোনো আঘাত না আসে, রাজ্যবাসীকে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা শহরের চিৎপুর এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর মিছিলে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কলকাতার সর্বত্র রামনবমীর মিছিলে শরিক হতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না।

আজ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যের ‘ভুতুড়ে’ ভোটারদের নাম বাতিলের দাবিতে এক প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। কলকাতার মুরলি ধর সেন লেন থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে কোনো অবাঙালি ভোটারের নাম যাতে বাদ দেওয়া না হয়, সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক
  • বিজ্ঞান উৎসব উদ্বোধন করল রোবট নাও
  • ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবে’ আলোয় ভাসল গারো পাহাড়