এপ্রিলেই তীব্র তাপপ্রবাহ ও কালবৈশালীর পূর্বাভাস
Published: 2nd, April 2025 GMT
দেশের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদূ তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার মধ্যে এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, চলতি মাসেই একটি বা দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং কয়েকটি কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
তীব্র তাপপ্রবাহের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে।
বুধবার (২ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বিষয়টি তুলে ধরে আরো বলা হয়েছে, চলতি মাসেই দুই থেকে চারটি মৃদূ বা মাঝারি তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন:
১৩ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ, ঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’ পরিণত, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে, সেটিকে মৃদূ তাপপ্রবাহ ধরে থাকেন আবহাওয়াবিদরা।
তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে, সেটিকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।
আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদূ ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী জেলার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। বাকি সব জেলার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। আর কিছু কিছু জেলার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর উঠেছে।
চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
বুধবার দেশের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব এলাকা থেকে তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে বলে তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার ওপর দিয়েই মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। বাকি তিন জেলা হলো- দিনাজপুর, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর ও চুয়াডাঙ্গা।
এই ১১ জেলায় তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; কারণ এসব জেলায় বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
কালবৈশাখীর পূর্বাভাস
এপ্রিলে দেশে পাঁচ থেকে সাত দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলছেন, কালবৈশাখী ঝড় এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আরো বলা হচ্ছে, এপ্রিলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। অবশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত কম হতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার তাপমাত্রার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুরের ডিমলাতে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝড় জ ল র ওপর দ য় স লস য় স র
এছাড়াও পড়ুন:
সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’
গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।
বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’
মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজএদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’
সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স