১৪ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড লিভারপুল, ২৬ ম্যাচ পর হারল প্রিমিয়ার লিগে
Published: 6th, April 2025 GMT
প্রিমিয়ার লিগে হারতে কেমন লাগে ভুলতে বসেছিল লিভারপুল। আজ লন্ডনে ফুলহাম সেই স্বাদ উপহার দিল লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দলটিকে। ঘরের মাঠে ১৪ মিনিটের এক ঝড়ে লিভারপুলকে লন্ডভন্ড করা ফুলহাম জিতেছে ৩-১ গোলে। ২৬ ম্যাচ পর প্রথম হারের স্বাদ পেলেও এখনো লিভারপুল নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।
ব্যবধানটা ১৪ পয়েন্ট করে নেওয়ার সুযোগ হারানো লিভারপুল আজ ম্যাচের প্রথম গোলটি পেয়েছিল। ১৪ মিনিটে অ্যালিস্টার ম্যাক অ্যালিস্টার এগিয়ে দেন লিভারপুলকে। এরপর অবশ্য লিভারপুলের রক্ষণভাগের দুর্বলতা সুযোগ নিয়ে ঝড় বইয়ে দেয় ফুলহাম। ২৩ থেকে ৩৭—এই ১৪ মিনিটে গোল করে ফুলহামকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন রায়ান সেসেগনন, অ্যালেক্স আইওবি ও রদ্রিগো মুনিজ।
এরপর লিভারপুল ফিরে আসার প্রবল চেষ্টা করেও মাত্র একটি গোলই শোধ করতে পারে। ৭২ মিনিটে লুইস দিয়াজ ব্যবধানটা ৩-২ করার পর ফুলহামের রক্ষণে গিয়েই বারবার খেই হারিয়ে হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল।
সাত ম্যাচ হাতে রেখে আর্সেনালের চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে, এই তথ্যটাই শুধু লিভারপুলের জন্য ইতিবাচক খবর এই সময়ে। মৌসুমের শুরুতে দুর্দান্ত খেলা দলটি মৌসুমের শেষ ভাগে ফর্ম হারিয়ে ফেলা দলটি যে শুধু বাজে খবর উপহার দিচ্ছে সমর্থকদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে পিএসজির কাছে হেরে বিদায়। লিগ কাপের ফাইনালে নিউক্যাসলের কাছে হার। লিভারপুলের কী হলো কী জানে!
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৪ ম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।