কিশোরগঞ্জে আমিনুল ইসলাম (২৮) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাত ১২টার দিকে শহরের নিউটাউন এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত ছিলেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমিনুলের বাড়ি নেত্রকোনার মদন এলাকায়। স্ত্রী ও চার বছরের মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জেনেছি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যান তিনি। স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি রেখে আসেন এবং শনিবার কাজে যোগ দেন। সোমবারও তিনি অফিস করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল কি না তা জানি না। এমন কথা আমিনুলও বলেননি। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার বাড়ি থেকে আমিনুলের ছোট ভাই শাফায়েতুল ইসলাম ও স্ত্রী এসেছেন। তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আমিনুলের ছোট ভাই শাফায়েত ভাইয়ের আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ প ল শ সদস য আম ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
‘আগামীতে জেলায় প্রবেশ করলে হুঁশিয়ার হয়ে কথা বলবেন। যদি সঠিকভাবে আপনার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, আপনার সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারেন, তাহলেই এ জেলায় কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। অন্যথায় আপনার যে কোনো কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রদল প্রস্তুত।’
রোববার দুপুরে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, দলীয় নেতাকর্মীর ওপর হামলা, জেলা ছাত্রদল সম্পর্কে ভিপি নুরের মিথ্যাচার ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে রোববার দুপুরে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এভাবেই সতর্ক করে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদল নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব মো. জাকারিয়া আহমেদ প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই রাতেই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় নুরুল হক নুরকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জেরে পরদিন শুক্রবার গলাচিপায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন গলাচিপা ও দশমিনা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। বিকেলে নুরুল হক নুর সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের বিরুদ্ধে এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন।