বিএনপি নেতা গাজী বাবুল’র মৃত্যুতে মামুন মাহমুদের শোক
Published: 10th, April 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা গাজী আতাউর রহমান বাবুল এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিএনপি নেতা গাজী আতাউর রহমান বাবুল স্ট্রোক করে মারা যায়। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার সকালে জানাযা শেষে পাইনাদি মিজমিজি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুম গাজী আতাউর রহমান বাবুল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত গাজী ইসমাইল হোসেনের ছোট ভাই ও থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মনির হোসেনের বড় ভাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এক শোকবাণীতে শোক প্রকাশ করেছেন।
এতে বলা হয়, গাজী আতাউর রহমান বাবুল মৃত্যুবরণ করায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই বিএনপি নেতার মৃত্যুতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র এক নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিকে হারালো।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি, আদর্শ ও দর্শনের একান্ত অনুসারী ছিলেন তিনি।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।