ছয়জন ভারতে ঢুকে ফিরলেন ৫ জন, কুটি মিয়ার কী হলো
Published: 11th, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করে আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশি কুটি মিয়ার। তবে স্থানীয়ভাবে শোনা যাচ্ছে, সীমান্তের ওপারে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে তিনি আহত বা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল ) বেলা ১১টা পর্যন্ত কুটি মিয়ার দেশে ফিরে আসেনি। তার না ফেরার বিষয়ে রাইজিংবিডি ডটকমকে তথ্য দিয়েছেন দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক।
ওসি বলেন, “ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে তিনি মারা গেছেন কি না, সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, ভারতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনো তাকে আহত কিংবা তার লাশ বা তাকে দেখতে পাইনি। ভারতের ভেতরে তিনি কী অবস্থায় আছেন, সেটাও আমাদের জানা নেই। তারা ছয়জন ভারতে ঢুকে পাঁচজন ফিরে এসেছেন, এটা জেনেছি।”
আরো পড়ুন:
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত গেছে ৪ ট্রাক
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে সমস্যা বোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
৫০ বছর বয়সি কুটি মিয়া দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত মনির উল্ল্যাহর ছেলে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিনের বেলা দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার লংথ্রাইপুঞ্জি এলাকায় খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি আনার জন্য অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। বিকালে ফেরার সময় সুপারি বস্তায় ভরেন তারা। ভারতীয় খাসিয়ারা তাদের দেখে ফেলায় তারা দৌড়ে পালিয়ে বাংলাদেশের আসার চেষ্টা করেন; পাঁচজন সীমান্ত পার হয়ে আসতে পারলেও কুটি মিয়ার আর ফেরা হয়নি। তবে তখন গুলির শব্দ শোনা যায়। কুটি মিয়া সেই গুলিতে আহত বা নিহত হয়ে থাকতে পারবেন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির রাইজংবিডি ডটকমকে বলেন, “গতকাল (১০ এপ্রিল) মোট ছয়জন ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ৭ থেকে ১০ কিলোমিটারে দূরে গিয়েছিল। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় পাঁচজন ফেরত এসেছেন; একজন এখন পর্যন্ত আসতে পারেননি।”
“তবে আমরা জানতে পেরেছি, ভারতে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন তারা, সেখানেই খাসিয়া কর্তৃক ফায়ার হয়েছে। সেখানে কী অবস্থায় তিনি রয়েছেন, সে বিষয়ের তথ্যের জন্য আমরা কাজ করছি,” বলেন জাকারিয়া কাদির।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যেটা জানতে পেরেছি, তাদের ছয়জনই চোরাকারবারি। তাদের মধ্যে দুজনের নামে বিজিবির মামলা রয়েছে। ভারত থেকে ফেরা পাঁচজনই পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করতে আমাদের অভিযান চলছে।”
ঢাকা/মনোয়ার/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা
এলইডি বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিলালসহ ছয়জনকে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলার অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন চাকরিচ্যুত সাবেক উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, টিসিএল অপটোইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার হামিদ খান, বেস্টওয়ানের মালিক মোসা. মমতাজ বেগম, বৈশাখী ট্রেডার্সের মালিক মো. গাফ্ফার ইলাহী ও জি-টেকের মালিক সুলতানা দিল আফরোজা।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশ করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন উপেক্ষা করে নির্বাচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।