খাগড়াছড়ি ও গোপালগঞ্জে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ৪ শিশুর
Published: 11th, April 2025 GMT
দেশের পৃথক দুই জেলায় পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় এসব প্রাণহানি ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে শামুক খুঁজতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের নলছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- রূপায়ন চাকমার মেয়ে রিয়া চাকমা (১৭) ও বিদেশী চাকমার মেয়ে পিয়াসি চাকমা (১৪)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেঙ্গী নদীর পাড়ে রিয়া চাকমা ও পিয়াসি চাকমাসহ আরও পাঁচ বন্ধু মিলে একসাথে শামুক খুঁজতে যান। হঠাৎ শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে রিয়া নদীতে পড়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে পিয়াসিও নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু সেখানে পানির গভীরতা বেশি থাকায় তারা দুজনেই ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে নদীতে জাল ফেলে প্রায় একঘণ্টা চেষ্টার পর দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
তবে পরিবারের পক্ষে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা।
এদিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পানিতে ডুবে ওমর ফারুক (২) ও নুসরাত খানম (৮) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার চৌরখুলী ও হিজলবাড়ি গ্রামে আজ এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশু ওমর ফারুক উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামের জসিম শেখের ছেলে ও নুসরাত খানম উপজেলার হিজলবাড়ি গ্রামের মশিউর হাজরার মেয়ে।
শিশু ওমর ফারুকের দাদা জেহারুল শেখ বলেন, আমার নাতিকে উঠানে বসিয়ে রেখে ওর মা কাপড় ধুতে পুকুর ঘাটে যায়। কিছুক্ষণ পরে এসে দেখে ওমর ফারুক উঠানে নেই। আমরা পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুজি শুরু করি। একপর্যায়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের পুকুরে ফারুকের দেহ ভেসে উঠতে দেখি। আমরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে নুসরাত খানমের পিতা মশিউর হাজরা বলেন, বাড়ির পাশে ভেকু মেশিন দিয়ে মাছের ঘের কাটছিল। ওই ভেকু মেশিন দেখতে যায় নুসরাত। বাড়ি ফেরার পথে বিজয় মাস্টারের মাছের ঘেরে পড়ে যায় আমার মেয়ে। পাশের বাড়ির শিশু জোনায়েদ নুসরাত পানিতে পড়ে গেছে বলে আমাদের খবর দেয়। আমরা দৌড়ে গিয়ে মাছের ঘের থেকে নুসরাতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ ওমর ফ র ক উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।