বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর রমনা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যা মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নবী নেওয়াজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

তবে মামলার মূল নথি না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির তারিখ রেখেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক। নবী নেওয়াজের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রমনা মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর জিন্নাত হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নবী নেওয়াজকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। পরে ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো.

জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নবী নেওয়াজ ১৭০ নম্বর আসামি।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ