দেশবরেণ্য কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেছেন,জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধায় বন্দর উপজেলার সাবদীস্থ গ্রীন গার্ডেন পার্কে আয়োজিত খ্যাতিমান সাহিত্য সংগঠন ধ্রুব সাহিত্য পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও লেখক আড্ডায় (ভার্চ্যুয়ালী) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউদ্দিন স্টালিন আরো বলেন, সামনে পহেলা বৈশাখ বাঙালী জাতির জীবনে সবচেয়ে বড় একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে। অনেকের ধারণা কবি সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখেন না। কিন্তু বিশ্ব বিপ্লবের ইতিহাসে সমস্ত রাজনৈতিক অশুভ শক্তিকে ধ্বংসে ভূমিকা রেখেছে কবিরা।

একঝাঁক গুণী কবি-লেখককের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের ছড়াকার ও কন্ঠশিল্পী এস এ শামীমের সভাপতিত্বে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ করেন কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসাদ কাজল। প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ছড়া সাহিত্যিক ড.

রুমন রেজা,বিশেষ আলোচক ছিলেন দেশবরেণ্য ছড়াকার আতিক হেলাল।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছড়াকার ও সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রীন গার্ডেন পার্কের পরিচালক নজরুল ইসলাম,দৈনিক বিজয় পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ডি এম মাইনুদ্দিন, কবি ও প্রাবন্ধিক শেখ মামুন হোসাইন, ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা ও সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন।

ছড়াকার ও অভিনেতা মোখলেছুর রহমান তোতা ও চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপিকা রোকসানা রহমান সামিয়ার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় উৎসবমুখর এ আয়োজনে অংশ নেন বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ পাঠক কবি ও ছড়াকার রবিউল মাশরাফী, শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার শফিকুল আলম টিটন, ছড়াকার ও আলোচক চঞ্চল মেহমুদ কাশেম কবি ও ছড়াকার নজরুল ইসলাম শান্তু,ছড়া সাহিত্যিক ও সম্পাদক কাজী নাজিম উদ্দিন সুমন,ছড়াকার মতিউর রহমান মনির,মাহফুজ ইকরাম,কবি ও শিক্ষক কামাল সিদ্দিকী,চলচ্চিত্র পরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিন,কবি আল আশরাফ বিন্ধু, নারায়ণগঞ্জ রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি কাজী আনিসুল হক হীরা, কবি ও সম্পাদক শফিকুল ইসলাম আরজু, কবি মমতাজ বেগম,কবি ও সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন সুমনা,কবি ও গবেষক ডাঃ বশির আহাম্মদ তুষার,কবি শিপন হোসেন মানব,ছাড়াকার ও সংগঠক নাজমুল হাসান রুমি, কবি ও প্রবান্ধিক নূরজাহান নীরা,কবি জহিরুল ইসলাম মিন্টু,ছড়াকার ও সংগঠক ফরিদ আহাম্মদ বাঁধন,কবি মোহাম্মদ শামীম মিয়া,গিয়াসউদ্দন খন্দকার,আমির হোসেন,বাচিক শিল্পী সাদিয়া আফরিন তমা, অভিনেতা ও সংগঠক বশির খান।

অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংবাদিক নেতা ও সংগঠক মোঃ আনোয়ারুল হক,বিমল চন্দ্র ঘোষ,সাইদুর রহমান ও বাহাউদ্দিন পায়েল। উৎসবে রেজিষ্ট্রেশনকারী প্রত্যেক লেখককে ঈদ উপহার হিসেবে পঞ্জাবী প্রদান করা হয়।

প্রাকৃতিক পরিবেশের এই আয়োজনটি লেখকদের মাঝে বেশ উৎসাহ সৃষ্টি করে। লেখকদের প্রত্যেকেই আয়োজনের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’