জাপানে ৩ থেকে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ, দিনে মিলবে ২৪০০ ইয়েন, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 14th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদি রিসার্চ ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে জাপান। দেশটির ওকিনাওয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ওআইএসটি) এ সুযোগ বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এ রিচার্স ইন্টার্নশিপে।
ওআইএসটি বছরে দুবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়। গবেষণার বিষয়বস্তু, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মেধার যাচাই করে দেওয়া হয় এই ইন্টার্নশিপ। ২০২৫ সালের ইন্টার্নশিপের আবেদন চলছে। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৫ এপ্রিল, ২০২৫। ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর শুরু হয়ে এই ইন্টার্নশিপ চলবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
সুযোগ-সুবিধাসমূহ—
*রিসার্চ ইন্টার্নশিপপ্রাপ্তদের প্রতি কর্মদিবসে ২ হাজার ৪০০ জাপানি ইয়েন (১ হাজার ৮৫১ টাকা, ১ ইয়েন সমান শূণ্য দশমিক ৭৭ পয়সা ধরে) মিলবে;
*ফ্রি ভিসা সাপোর্ট;
*ওআইএসটির শাটল বাসের পাস;
*ইন্টার্নশিপের জন্য জাপানে যাতায়াত বিমান টিকিট;
*আবাসনসুবিধা ও
*ইনস্যুরেন্সের সুবিধাও মিলবে ইন্টার্নশিপে।
আবেদনের যোগ্যতাসমূহ—
*যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন;
*স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন;
*শিক্ষাজীবনে ভালো ফল থাকতে হবে;
*ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি—
*স্টেটমেন্ট অব পারপাস লিখতে হবে। লিখতে হবে ৪০০ শব্দে;
*আবেদনকারীর ছবি
*শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট (ইংরেজিতে);
*পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি;
*রিকমেন্ডেশন লেটার।
আরও পড়ুনজার্মানিতে পড়তে যেতে চান, নজরে রাখুন এই ৮ বিষয়২০ নভেম্বর ২০২৪আবেদনপ্রক্রিয়া—
আনলাইনে আবেদন করা যাবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ওআইএসটির ওয়েবসাইটের লিংক থেকে ইন্টার্নশিপ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মিলবে। ওয়েবসাইটে লগইন করার পরই ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
*আবেদনের শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ সাল।
*লগইন করতে এখানে ক্লিক করুন
*ওয়েবসাইট লিংকের জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনসুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কি১২ এপ্রিল ২০২৪আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই ১৮-২৯ বয়সীদের সুযোগ২০ মে ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৮৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।