ফুলবাড়িয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 14th, April 2025 GMT
ফুলবাড়িয়া উপজেলায় সালিশকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহার নামীয় ২২ জনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পলাশিহাটা গ্রামের নিয়াম উদ্দিনের ছেলে রিপন (৩২), নাওগাও গ্রামের সাবান আলীর ছেলে মোজাম্মেল ও মজিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন।
সোমবার গ্রেপ্তারদের ময়মনসিংহ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে নিহত গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে মৃত সাবান আলীর ছেলে মোতালেবসহ এজাহার নামীয় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ২ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
নিহত গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ সালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। যত অপরাধই করে থাকুন দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। বাবা ছেলেকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করল।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা ছেলের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ বসেছিল, তারা সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় সালিশ থেকে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। নিহত গফুরের বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় ৩২৬ ধারায় ২টি মামলাসহ ৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৫) এর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় সালিশ থেকে গিয়ে শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে নিজ ঘরে আ.
ঘটনার দিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামটি প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক প য় হত য ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।