পিএইচডি ফেলোশিপে আবেদন করুন দ্রুত, মাসে ২৫০০০ মিলবে
Published: 16th, April 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পিএইচডি গবেষকদের কাছ থেকে ফেলোশিপের জন্য আবেদন চলছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিএইচডি ফেলোশিপের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি কোর্সে ভর্তিকৃত-অধ্যয়নরত গবেষকদের কাছ থেকে এ জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ১৬ মার্চ থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। ফেলোশিপ ও বৃত্তি বাবদ পিএইচডি কোর্সে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে ফেলোশিপ মিলবে।
আরও পড়ুনকানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ২ ঘণ্টা আগেগবেষণার অধিক্ষেত্র হলো—সামাজিক বিজ্ঞান
কলা ও মানবিক
ব্যবসায় শিক্ষা
সমুদ্রবিজ্ঞান
আইন
ভৌতবিজ্ঞান
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
বিজ্ঞান
জীববিজ্ঞান
শিক্ষা ও উন্নয়ন
চিকিৎসাবিজ্ঞান
চারু ও কারু
কৃষিবিজ্ঞান
ধর্মীয় শিক্ষা।
আবেদনের নিয়ম ও শর্ত—গবেষকেরা অনলাইনে আবেদন করবেন
শিক্ষাজীবনে ন্যূনতম দুটি প্রথম বিভাগ (জিপিএ-৫ স্কেলে ৩.
ফেলোশিপের জন্য আবেদন জমার তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর হতে হবে
অনলাইনে আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত অনুলিপি (সনদ ও মার্কশিট), পিএইচডি কোর্সে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশনের কপি, গবেষণা প্রস্তাবনা ও বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র সংযোজন করতে হবে
অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ (দুই সেট আবেদন) আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে অফিস চলাকালে সরাসরি বা ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাড়ি নম্বর-৪৪, সড়ক নম্বর-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ বরাবর পাঠাতে হবে
সরকারি বা আধা সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কপি সংযোজন করতে হবে
কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল বা পরিবর্তন এবং যেকোনো আবেদন বিবেচনা বা বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫বিস্তারিত জানতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত নির্দেশিকাসহ অন্য বিষয় জানতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। এ ছাড়া প্রার্থীরা ০১৭৭৮৯৬৪১৫৬, ০১৭২৪৫৯৬৬৭৬, ০১৭৩৬৩২৭৫৬২—এই হটলাইনে যেকোনো ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান, ভর্তি নিশ্চিতকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালীন অনুদান প্রদানসহ এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে বৃত্তি এবং ফেলোশিপ প্রদান করছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ ও বৃত্তি বাবদ পিএইচডি কোর্সে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
আবেদন শেষ কবে১৭ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু১৫ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমতি ছাড়াই গাসিক কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিদেশ যাত্রা
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন, তথ্য গোপন, অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর গত ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক শাহেদ আলম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তথ্য গোপন করে বেসরকারি পাসপোর্ট (নং A০১২৬৬৬১২) সংগ্রহ করেছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
অভিযোগকারী দাবি করেন, তিনি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন সময়ে কানাডা সফর করেছেন, যার কোনো অনুমোদন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেননি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১৯ জুন কানাডা সফরের সময় তিনি প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গোলাম কিবরিয়া নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে কানাডায় সেকেন্ড হোম এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করেছেন। তার নামে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা পাচারের দুর্নীতির মামলাও চলমান রয়েছে। এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো পদে বহাল থেকে প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিযোগকারী বলেন, “তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার সরাসরি লঙ্ঘন এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
সূত্র জানায়, গোলাম কিবরিয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। তিনি দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে কানাডায় স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। গাজীপুরবাসীর স্বার্থে এমন বেপরোয়া ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান বলেন, “লিখিত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে। প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। তথ্য গোপন করে বিদেশ যাত্রা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, প্রমাণ মিললে বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হবে।”
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে শোকজ করা হয়েছিল এবং তিনি জবাবও দিয়েছেন। শোকজের প্রতিবেদনটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।”
এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রেজাউল/এস