গাজায় এক মাসে ৪ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরায়েল
Published: 19th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে আরো চার লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ( ইউএনআরডব্লিউএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনোদোলুর।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, “জানুয়ারিতে হামাসের সঙ্গে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল ভেঙে দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।” একইসাথে উল্লেখ করা হয়, “তারা এখন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সাহায্য ও বাণিজ্যিক সরবরাহের দীর্ঘতম বাধাও সহ্য করছে।”
ছয় সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো মানবিক সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এটা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ অবরোধ আরোপের ঘটনা।
আরো পড়ুন:
গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাখাইনদের প্রার্থনা
গিরিশৃঙ্গে জাফর সাদেকের হাতে উড়ল ফিলিস্তিনের পতাকা
ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, “গাজায় পুনরায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং মানবিক সাহায্যের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা মানবিক সংস্থাগুলোর জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে—বিশেষ করে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সরবরাহ।”
গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যার ফলে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//