ঝটিকা মিছিলের মধ্যে ফ্যাসিবাদ লুকায়িত : এ্যানি
Published: 19th, April 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘‘যারা এখন ঝটিকা মিছিল করছে, তাদের হালকাভাবে নিলে হবে না। তারা ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে হুংকার দিতে চাচ্ছে। ঝটিকা মিছিলের মধ্যে ফ্যাসিবাদ লুকায়িত আছে। ঝটিকা মিছিলের মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্র লুকায়িত আছে। সুতরাং তাদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের গোডাউন রোডস্থ বশির ভিলায় যুদলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘‘লুট হওয়া অস্ত্র ও ফ্যাদিবাদের কাছে থাকা অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা হয়নি। এ সব অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে তা আবার আমার আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এইটা আমাদের দাবি।’’
আরো পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ শিবিরের বিরুদ্ধে
মধ্যরাতে কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, সদর (পূর্ব) ও চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়।
এ প্রতিনিধি সভায় এ্যানি বলেন, ‘‘বিচার প্রক্রিয়া এখনো দৃশ্যমান না। শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান না হওয়ায় ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করতে হবে। হাসিনার দুঃশাসন, দুর্নীতির সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত দৃশ্যমাম করতে হবে।’’
এ্যানি বলেন, ‘‘একদলীয় শাসনের কারণে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। বিএনপি কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের শাসনে বিশ্বাসী। আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা আছে, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি ঐক্যমতের সরকার গঠন করবো। আমরা আশা করি, আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে।’’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান।
চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক এনায়েত উল্যার সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহম্মেদ প্রমুখ।
ঢাকা/লিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস