কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলমকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বদরুল আলমকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শনিবার (১৯ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তার বদরুল আলম কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহী পুলিশ লাইন্স থেকে কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শনিবার মধ্যরাতে কটিয়াদী পৌর শহরের একটি বাড়ি থেকে কদরুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় বদরুল আলম তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, “কোনো মামলা ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করা হল। আল্লাহ ভরসা।”

এলাকাবাসী জানান, বদরুল আলম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তিনি কটিয়াদী রক্তদান সমিতির সমন্বয়ক হওয়ায় বেশির ভাগ সময় তাকে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে দেখা যেত। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, বদরুল আলমের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় কোনো মামলা নেই। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রবিবার দুপুরে সদর থানা পুলিশের কাছে বদরুল আলমকে হস্তান্তর করা হয়।”

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর বদর ল আলম ল আলমক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, কৃষক দল নেতাকে পুলিশে দিলেন দোকানিরা

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ মো. নুর আলম (৩৫) নামের কৃষক দলের স্থানীয় এক নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন দোকানিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

মো. নুর আলম নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চর মটুয়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কৃষক দলের পদে থাকার বিষয়টি পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল হুদা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের একটি মুদিদোকান থেকে সুজি কিনে এক হাজার টাকার একটি নোট দেন নুর আলম। দোকানদারের কাছ থেকে অবশিষ্ট টাকা ফেরত নিয়ে তিনি দ্রুত চলে যান। দোকানদার সন্দেহবশত এক হাজার টাকার নোটটি পরীক্ষা করে দেখেন, এটি জাল। এরপর তিনি আশপাশের দোকানিদের বিষয়টি জানান। এ সময় দোকানিরা জড়ো হয়ে বাজারের একটি রাস্তা থেকে নুর আলমকে আটক করলে তিনি জাল নোট দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁর কাছে আরও ২৩ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নুর আলমকে থানায় নিয়ে যায়।

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাতে নুর আলমের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। জাল নোট চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, কৃষক দল নেতাকে পুলিশে দিলেন দোকানিরা