কটিয়াদী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে
Published: 20th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলমকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বদরুল আলমকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শনিবার (১৯ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার বদরুল আলম কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহী পুলিশ লাইন্স থেকে কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
শনিবার মধ্যরাতে কটিয়াদী পৌর শহরের একটি বাড়ি থেকে কদরুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় বদরুল আলম তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, “কোনো মামলা ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করা হল। আল্লাহ ভরসা।”
এলাকাবাসী জানান, বদরুল আলম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তিনি কটিয়াদী রক্তদান সমিতির সমন্বয়ক হওয়ায় বেশির ভাগ সময় তাকে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে দেখা যেত। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, বদরুল আলমের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় কোনো মামলা নেই। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রবিবার দুপুরে সদর থানা পুলিশের কাছে বদরুল আলমকে হস্তান্তর করা হয়।”
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর বদর ল আলম ল আলমক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ডিবির অভিযানে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ঝটিকা মিছিল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম, তুরাগ থানা ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বংশাল থানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার, তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার এবং তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম।
আরো পড়ুন:
পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
মোবাইল গেমে আসক্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কাণ্ড
ডিবি জানায়, ২৭ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম। অন্যদিকে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর বংশাল থানাধীন ইংলিশ রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকেল সোয়া ৩টায় মো. শাহেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া দুপুর পৌনে ২টায় ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে মো. ওয়ারেজ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি সূত্র জানায়, ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম রাজধানীর গোপীবাগ এলাকা থেকে সকাল ৭টায় শহীদুল হক চৌধুরী রানাকে এবং ডিবি-উত্তরা বিভাগের একটি টিম সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কামারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহিদুল ইসলাম তুষারকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় ডিবি সাইবার টিম কর্তৃক উত্তরা পূর্ব থানার ১৮ নম্বর সেক্টর থেকে মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে।
উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
ঢাকা/এমআর/এসবি