Samakal:
2025-11-03@15:01:23 GMT

হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম

Published: 21st, April 2025 GMT

হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম

আবহাওয়া নিয়ে প্রশাসনের বার্তায় উৎকণ্ঠা দেখা দিলেও কয়েক দিন ধরে মেঘমুক্ত দিন মেলায় আপাতত স্বস্তিতে কৃষক। বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরে হাওরে। ইতোমধ্যে আবাদ করা এক-তৃতীয়াংশ জমির ধান কৃষকদের গোলায় উঠেছে; জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। 
১৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক জরুরি বার্তায় বলা হয়, ১৫ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য হাওরের জমিতে ৮০ ভাগ ধান পাকলেই দ্রুত কাটতে কৃষকদের অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। গত কয়েক দিনের রোদের ঝিলিকে কৃষকের মুখে হাসি দেখা গেছে। 
জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়াসহ কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে সোনার ধানের শীষ বাতাসে দুলছে। আধা পাকা বোরো ধানের ম-ম গন্ধে মাতোয়ারা কিষান-কিষানি। চৈত্রের শেষদিকে কিছু জমির আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হলেও পহেলা বৈশাখ আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়। এরই মধ্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দেয় হাওরবাসীর মধ্যে। তবে গত কয়েক দিনের রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাওরের অধিকাংশ এলাকা এখনও শুকনো। হাওরের নদ-নদী ও খাল-বিলে এখনও পানি আসেনি। এতে খানিকটা কৃষকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। 
নলুয়া হাওরের ভুরাখালি গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, প্রথমে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলেও এখন আর সেই শঙ্কা নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভয় কেটে গেছে।
আরেক কৃষক ওবায়দুর রহমান বলেন, হাওরজুড়ে ধান কাটার ধুম পড়েছে। বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। উপজেলার হাওর, নদ-নদী, খাল এখনও অনেকটা শুকনো। এতে ফসল হারানোর শঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে। 
মইয়ার হাওরের ইকড়ছই গ্রামের কৃষক আশিক মিয়া বলেন, ৮ কেদার জমিতে বোরো আবাদ করেছি। এরই মধ্যে চার কেদার জমির ফসল কাটা শেষ। অবশিষ্ট জমির ফসল এখনও পুরাপুরি পাকেনি। আগামী ৭/৮ দিনে ফসল কাটা কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। 
নলুয়া হাওর-বেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, উৎকণ্ঠা কাটিয়ে প্রতিটি কৃষক পরিবার এখন বোরো ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত। 
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এবার জগন্নাথপুরের ছোট-বড় ১৫টি হাওরে ২০ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, উপজেলার প্রতিটি হাওরে পুরোদমে চলছে ধান কাটা। যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকেছে, সেই জমির ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। ধান কাটার জন্য বর্তমানে ৭৪টি মেশিন (কম্বাইন হারভেস্টার) এবং প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক মাঠে কাজ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে। 
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, বর্তমানে উপজেলার হাওরগুলোতে পুরোদমে ধান কাটার উৎসব চলছে। প্রশাসন সার্বক্ষণিক এই বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ধ ন স গ রহ উপজ ল র ক ষকদ র র হ ওর হ ওর র নদ নদ

এছাড়াও পড়ুন:

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর

জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।

আরো পড়ুন:

মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ

স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ

মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।

১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।

কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর