হাওরে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়া, চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা খুন
Published: 22nd, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় হাওরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের বিড়ার ভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোকারিম মিয়া (২০) একই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর তাঁর চাচা বাবুল মিয়া পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির উঠানে বাবুল মিয়া ও তাঁর ভাতিজা মোকারিমের মধ্যে হাওরে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি নিয়ে মোকারিমকে আঘাত করেন বাবুল মিয়া। এ সময় গুরুতর আহত হন মোকারিম। আহত অবস্থায় মোকারিমকে স্বজনেরা উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। ওসি বলেন, মাছ ধরা নিয়ে চাচা-ভাতিজার মাঝে ঝগড়ার সময়ে ছুরিকাঘাতে মোকারিম মারা গেছেন। লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।