কালীগঞ্জে গরু চুরি বেড়েছে, পুলিশি তৎপরতায় ৩টি গরু-বাছুর উদ্ধার
Published: 22nd, April 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গরু চোর চক্রের তৎপরতা। সম্প্রতি কৃষকের খামার থেকে একের পর এক গরু চুরির অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোররাতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রাথুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামে কৃষক মো. জালাল উদ্দিন শেখের খামার থেকে দুটি গরু ও একটি বাছুর চুরি হয়েছে।
সকালে খামারে গিয়ে বিষয়টি টের পান কৃষক জালাল উদ্দিন। আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে কোনো খোঁজ না পেয়ে থানায় ছুটে যান তিনি। থানায় গিয়ে একটি পিকআপ গাড়ির পাশে দুটি গরু ও একটি বাছুর বাঁধা দেখতে পান তিনি। সেসময় তিনি সেগুলোকে নিজের গরু হিসেবে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিকআপ, দুটি গরু ও একটি বাছুর উদ্ধার করা হয়। বাকি একটি বাছুর উপজেলার মৈশাইর বাজার এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এলাকার সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের মধ্যে চুরি নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত চোর চক্রকে গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “আমরা উদ্ধার হওয়া গরুগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। পিকআপ গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। চোর চক্রকে চিহ্নিত করে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/রফিক/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।