ভুয়া খবরে বিব্রত ববিতা, নিতে চাইলেন আইনগত ব্যবস্থা
Published: 22nd, April 2025 GMT
নিজের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে আবারও বিব্রত চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ফরিদা আক্তার ববিতা। এবার তাঁর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছে অসুস্থতার খবর। ওই পোস্টে হাতে ক্যানোলাসহ ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘এবার দেশে এসে বেশির ভাগ সময় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছি। তাই অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না।’
ফেসবুকে এই শিল্পীর নামে আইডি খুলে কারা এমনটা করছেন, বুঝতে পারছেন না তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত ও আতঙ্কিত এ অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘জীবনে ফেসবুক ব্যবহার করিনি। অথচ প্রায়ই কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হলে আমাকে শুনতে হয়, আপনি তো আমার ফেসবুক বন্ধু। আগেও বলেছি, আবারও জোর দিয়ে বলছি আমি কখনো ফেসবুক ব্যবহার করি না, আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। কারা যেন আমার নাম ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি তৈরি করেছে এবং আমার নাম দিয়ে নানা বিষয় পোস্ট করছে। গত সোমবার জানতে পারলাম সেই ফেক ফেসবুক আইডিতে একটি স্যালাইনযুক্ত হাতের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে আমি অসুস্থ। খবরটি পুরোপুরি ভুয়া। আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বছরের বেশির ভাগ সময় ছেলের কাছে কানাডা থাকতে হয়। দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় বেশ আগে মেসেঞ্জারে আমার নামের ভুয়া আইডি দিয়ে অনেকের কাছে টাকাও চাওয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টি আমার জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর। শুরুতে বিষয়টা পাত্তা দিইনি, এখন তো খুব ভীতিকর লাগছে। অনেক আগে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছিল আমি নাকি মারা গেছি! পয়সা কামানোর জন্য তারা এমনটি করছে বলে মনে হয়। যারা এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করছে, তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, এই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করলে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নিব। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবরে মোটেও কান দেবেন না।’
১৯৬৮ সালে ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন ববিতা। এরপর নিয়মিত অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারে প্রায় তিনশ সিনেমায় অভিনয় করা এই শিল্পী আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।অভিনয় থেকে বর্তমানে দূরে আছেন ববিতা। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায়। ভালো গল্প ও চরিত্র না পাওয়ায় অভিনয় করছেন না এ অভিনেত্রী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বব ত অভ ন ত র ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ১৬ বস্তা ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেসব জিরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অন্য একটি পক্ষ আবার সেই জিরা আটক করে। এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে হাসধরা এলাকায় দ্বিতীয়বার আটক হয়। এসময় স্থানীয়রা বেশকিছু বস্তা জিরা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করে তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় বোঝাই একটি ট্রলি ঝিনাইগাতী থেকে ভায়াডাঙ্গা বাজার দিয়ে শ্রীবরদী হয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলিটি আটক করে। এসময় ট্রলি চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সেসময় স্থানীয় অপর একটি পক্ষ সুকৌশলে আরেক চালককে দিয়ে ট্রলিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হাসধরা এলাকায় ট্রলিটি আবার আটক হয়। এসময় প্রায় অর্ধেক মালামাল লুট করে এক পক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন নেতা নতুন করে অন্য ড্রাইভার দিয়ে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা অবৈধ পাচার হওয়া মালামাল জব্দ হোক এটাই চাই। এছাড়াও যারা মালামাল লুট করেছে এবং এই পাচারের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ বস্তা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছি। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।”
শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিজিবি মালামাল জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস