Samakal:
2025-12-13@15:23:52 GMT

বিবাদে বিএনপির দু্‌ই নেতা

Published: 24th, April 2025 GMT

বিবাদে বিএনপির দু্‌ই নেতা

আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দরকার এলাকায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য। তাই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তৎপর বিএনপির বড় দুই নেতা– গোলাম আকবর খোন্দকার ও গিয়াস কাদের চৌধুরী। 

দক্ষিণ রাউজানে ছড়ি ঘোরানো গোলাম আকবর নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন উত্তর রাউজানও। আর উত্তর রাউজানের ক্ষমতাধর গিয়াস কাদের নজর দিয়েছেন দক্ষিণ রাউজানের দিকে। গত আট মাসে যে ১২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, এর ছয়টি উত্তর রাউজানে এবং ছয়টি দক্ষিণ রাউজানে। 

রাউজানে খুন হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশ তাঁর অনুসারী বলে দাবি করেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের নেশায় পেয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকে। তিনি একের পর এক আমার অনুসারীদের লাশ ফেলছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। বলেছি, খুনিদের গ্রেপ্তার করুন। দক্ষিণ রাউজানে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশি তৎপরতা বাড়ান। অন্যথায় থামবে না লাশের এই মিছিল।’ 

এই অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘লাশের রাজনীতি কখনোই করিনি। এলাকার মানুষও তা জানে। গত ১৫ বছর আমি এলাকাতেই ছিলাম। আর দেশ ছেড়ে বিদেশে আরাম-আয়েশ করেছেন গিয়াস কাদের। সুদিনে এলাকায় ফিরে দেখেন তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই কিছুই। তাই আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একের পর এক লাশ ফেলছেন। এ জন্য তাঁর চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ফজলে করিমের সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসী গ্রুপকে দলে টেনেছেন।’

দুই নেতাই হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, পুলিশ সক্রিয় হলে, প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে পুলিশ বলছে, রাজনৈতিক চাপে তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না।

বড় দুই নেতার এই বিবাদের প্রভাব পড়েছে নেতাকর্মীর মাঝে। তারাও এখন বিভক্ত হয়ে আছেন দুই বলয়ে। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের সুবিধার্থে নেতাকর্মীরা আশ্রয় খুঁজছেন এ দুই নেতার ছায়াতলে। উত্তর রাউজানে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এখন প্রভাব দেখা যাচ্ছে গিয়াস কাদেরের। দক্ষিণ রাউজানে বিএনপির নানা কর্মসূচি নিয়ে সরব থাকছেন গোলাম আকবর খোন্দকার।

৫ আগস্টের পর রাউজানে খুনোখুনির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থিত রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে নিজেরা খুনোখুনি করে বিএনপিকে কলঙ্কিত করছে। খুনের ঘটনায় উল্টো মূল বিএনপির নেতাকর্মীকে মামলার আসামি করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিত জানাব।’

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মাটি-বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও খুনোখুনির ঘটনাগুলো হচ্ছে। আমরা চাই শান্তির রাউজান। আমাদের নেতা কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, তাদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। আমি নিজেও প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে সব হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক।’ 

আসন্ন নির্বাচনে রাউজান থেকে এমপি পদে মনোনয়ন চাইবেন গোলাম আকবর খোন্দকার। গত ১৫ বছর এলাকায় থাকায় দলে শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে তাঁর। এই অবস্থান ধরে রাখতে চান তিনি পুরো রাউজানে। 

এবার রাউজান থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন গিয়াস কাদের চৌধুরীও। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের আলাদা একটি প্রভাব আছে রাউজানে। তিনি একে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। বিগত সরকারের সময়ে বেশ কয়েক বছর এলাকায় ছিলেন না গিয়াস কাদের, ছিলেন দুবাইয়ে। গোলাম আকবর খোন্দকার এটিকে সামনে এনে গিয়াসের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীকে সংগঠিত করছেন। তবে গিয়াস কাদের বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিলেন তিনি। এ জন্য বিদেশ যেতে বাধ্য হয়েছেন।


সম্পাদনা: বাবু

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ ন র ঘটন ন ত কর ম ব এনপ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর: আসিফ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গানের মানুষ হলেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী। কয়েক দিন আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এ আলাপচারিতায় শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে কথা বলেন আসিফ। 

অনুষ্ঠানে সঞ্চালক আসিফের একটি লেখা উল্লেখ করেন। সঞ্চালক বলেন, “আপনার ছোট একটা লেখার কথা মনে আছে। যেখানে আপনি লিখেছিলেন—‘আমি উট পাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে, অন্য সেলিব্রিটিদের মতো সব আমলের ক্রিম খাই না, সম্ভবও না।’ এই দেশের অনেক সেলিব্রিটি…।” সঞ্চালকের কথা শেষ হওয়ার আগেই আসিফ আকবর বলেন, “অনেক না, প্রায় শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর। এটা নিঃসন্দেহে। কিছু আছে পাগলছাগল। তারা কাউরে গোনে না, চিনেও না, এটা ভালো।” 

আরো পড়ুন:

‘তুমিহীনা’ গানে ভিন্ন নদী

আফগান সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ৬ সেনা নিহত

ব্যাখ্যা করে আসিফ আকবর বলেন, “কিন্তু পলিটিক্যাল বেনিফিট। ‘আই অ্যাম নট পলিটিশিয়ান, অ্যাই ডোন্ট লাইক পলিটিকস, আই হেট পলিটিকস’—এসব বলেন তারা। একটু আগে যে নায়কের কথা বললে। আমাদের লম্বা চুলের হিরো। সে কোথায় যায় না, সব জায়গায় তেল মারে। আমার কাছে ছবিও আছে। তাদের নৈতিকতা তাদের কাছে। কিন্তু আমার স্টাইল হলো—আমি ভেঙে যাব, তবু মছকাব না। নৈতিক-আদর্শিক ইস্যুকে মেইনটেইন করতে হবে।” 

সঞ্চালকের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আসিফ আকবর বলেন, “একটা জীবনে তুমি কী চাও? তোমার ভালো কাজ নিয়ে চর্চাই তো হবে! খারাপ কাজ তো বেশি দিন টিকবে না। খারাপ কাজ নিয়ে মানুষ আলাপ করবে না। মৃত্যুর পর খোঁজে খোঁজে তোমার ভালো কাজ নিয়ে মানুষ আলাপ করবে। মৃত্যুর জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হয় এবং মৃত্যুর পরে যে চর্চা হয় সেটাই আসল চর্চা।” 

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসঙ্গ টেনে আসিফ আকবর বলেন, “সোশ্যাল সাইট আসার পর থেকে তো একটা অস্থিরতা চলছে। বিষয়টা এমন যে, একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিক মানে, একটা টিভি চ্যানেলের মালিক। সুতরাং মানুষ বলতেই থাকবে। কিন্তু তুমি কে, তুমি কী, তুমি কীভাবে চলছো, কোথায় তোমাকে থামতে হবে—এটা ‘নো দাই সেলফ’ অর্থাৎ নিজেকে চেনা।” 

“নিজেকে চেনার ব্যাপারটা আমার জন্য যথেষ্ট আছে। আমি যদি ভুল করি, দ্রুত তা সংশোধন করে ফেলি। এটা নিজে থেকে করে ফেলি। আর যেটা ভুল না, সেটা নিয়ে এক জীবন পার করব। কারণ আমি জানি এটা ভুল না। একসময় তোমাকে এখানে আসতেই হবে।” বলেন আসিফ আকবর।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ফিরে এসো প্রিয় ওসমান হাদি’
  • শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর: আসিফ