এমপি বদিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 24th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিসহ সেন্টমার্টিনের ১৯ হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া মামলার প্রতিবেদন (চার্জশিট) আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন গত ১৩ মার্চ আদালতে জমা হওয়ার পর শুনানির জন্য ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছিল। এ দিন শুনানি শেষে আদালত ১৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন– আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সানরাইজ রিসোর্টের মালিক আব্দুর রহমান বদি, বাংলা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মো.
জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস করে আবাসিক হোটেল নির্মাণ করে পরিচালনার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ১০ হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত এ মামলার এজাহারে বলা হয়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস ছাড়াও বিচ থেকে বালু উত্তোলন করে নিচ জমি ভরাট করা, সরকারি জমি দখল এবং অবৈধভাবে আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট নির্মাণ ও পরিচালনা করে পরিবেশ এবং প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করা হয়েছে। পরে মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও আরও ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র পর য় ন স ন টম র ট ন পর য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।