আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
Published: 25th, April 2025 GMT
আখাউড়ায় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মো. আসাদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি হলেন, ইটনা গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তাকে আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইটনা সীমান্তের ভারতীয় অংশে মো.
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান জানান, ভারত সীমান্তের ১২০ গজ ভেতরে অর্থাৎ ভারতীয় অংশে গুলির ঘটনাটি ঘটে। ওই ব্যক্তি ভারতের সীমান্তের ভেতর একটি ছোট নদী পার হওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ।
কর্নেল জিয়াউর রহমান বলেন, তার বাম চোখের অংশে গুলি লেগেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে চিকিৎসার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে আহত ব্যক্তির কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বিএসএফের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব র হ মণব ড় য় ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।