Prothomalo:
2025-11-02@05:46:19 GMT

মডেল মেঘনা আলমের জামিন

Published: 28th, April 2025 GMT

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোক বলেন, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মামলাটি হয়। মেঘনা আলম ও তাঁর পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো.

দেওয়ান সমিরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ সোমবার মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলায় মেঘনা আলম ও তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুনশুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল, আদালতে মডেল মেঘনা১৭ এপ্রিল ২০২৫

৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

এদিকে মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তাঁর বাবা বদরুল আলম সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।

আরও পড়ুনকূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে১৭ এপ্রিল ২০২৫

রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চান আদালত।

আরও পড়ুনএবার চাঁদাবাজি–প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো১৭ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনমেঘনা আলম যে প্রক্রিয়ায় আটক, তা সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল১৩ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলম র

এছাড়াও পড়ুন:

জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, কৃষক দল নেতাকে পুলিশে দিলেন দোকানিরা

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ মো. নুর আলম (৩৫) নামের কৃষক দলের স্থানীয় এক নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন দোকানিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

মো. নুর আলম নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চর মটুয়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কৃষক দলের পদে থাকার বিষয়টি পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল হুদা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের একটি মুদিদোকান থেকে সুজি কিনে এক হাজার টাকার একটি নোট দেন নুর আলম। দোকানদারের কাছ থেকে অবশিষ্ট টাকা ফেরত নিয়ে তিনি দ্রুত চলে যান। দোকানদার সন্দেহবশত এক হাজার টাকার নোটটি পরীক্ষা করে দেখেন, এটি জাল। এরপর তিনি আশপাশের দোকানিদের বিষয়টি জানান। এ সময় দোকানিরা জড়ো হয়ে বাজারের একটি রাস্তা থেকে নুর আলমকে আটক করলে তিনি জাল নোট দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁর কাছে আরও ২৩ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নুর আলমকে থানায় নিয়ে যায়।

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাতে নুর আলমের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। জাল নোট চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরের এমএম কলেজের ক্লাবগুলো যেভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করছে
  • জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, কৃষক দল নেতাকে পুলিশে দিলেন দোকানিরা