বাগেরহাটের দুই বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 28th, April 2025 GMT
বাগেরহাটের বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা, তাঁদের স্ত্রী ও স্বজনের ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে তাঁরা হলেন বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, বন সংরক্ষক চিন্ময় মধু ও তাঁর স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, চিন্ময় মধুর আত্মীয় হরিদাস মধু ও তাঁর স্ত্রী দুলালী মধু।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, রফিক আহমেদের নামে ৬০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।
অপর দিকে চিন্ময় মধু ও তাঁর স্ত্রীর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া হরিদাস মধু ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ২০ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিক আহমেদসহ অন্যদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। তাঁরা এসব অর্থ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত অবর দ ধ আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে অবৈধ বালু ও পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ৪ নৌকা আটক করলেন স্থানীয়রা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গভীর রাতে ধলাই নদ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ও পাথর নিতে আসা চারটি নৌকা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর থেকে পাথর চুরি ঠেকাতে সোচ্চার হন এলাকাবাসী। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ধলাই সেতু এলাকা থেকে নৌকাগুলো আটক করে পুলিশে দেয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সাদা পাথরসহ আশপাশের এলাকা থেকে বালু ও পাথর লুটপাট চলছে। লুটপাট করা পাথর ও বালু পরিবহন করতে সুনামগঞ্জ থেকে নদীপথে বড় বড় স্টিল নৌকা কোম্পানীগঞ্জে যাচ্ছে। এসব কাজে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকজন জড়িত থাকায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে স্থানীয় সচেতন লোকজন অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আটক করা নৌকার মালিকদের পাওয়া যায়নি। নৌকাগুলোতে কিছু বালু ছিল। নৌকাগুলো বর্তমানে পুলিশের জিম্মায় আছে।
এদিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধলাই নদে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৩৮টি নৌকা ধ্বংস করে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুননাহার। এতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সহযোগিতা করেন।