রাজশাহীতে হাসান আলী (৪৫) নামে একজন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাতের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাকে কুপিয়েও আহত করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরের মতিহার থানার বুধপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়।

আহত হাসান আলী নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক। তিনি নগরের বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম হাসমত আলী। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসান আলীর ডান গাল ও ডান হাতের দুই জায়গায় গভীর আঘাত রয়েছে। ডান হাতের কব্জির রগ কেটে গেছে। এছাড়া একটি কান কেটে দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন, তার চিকিৎসা চলছে।

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, ঘটনার সময় হাসান আলী নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওসি জানান, ঘটনার পর খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। হামলার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। আহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে আজ (শুক্রবার) দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।

ঢাকা/কেয়া/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ স ন আল নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ