সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে আহত করার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি (৩৬ নং আসামি) তাঁতী লীগ নেতা আলী মিয়া ও (১৯ নং আসামি) ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন শনিবার (২ মে) দুপুরে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলা নং (৩০)।

এর আগে শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই শাহ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব কলাবাগ এলাকার তাঁতী লীগ নেতা আলী মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডস্থ বিদ্যুৎ অফিস, ভুমী পল্লীর সামনে আগ্নোয়াস্ত্র দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে অনবরত গুলি করে।

এসময় প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়াইয়া পালাইয়া যাওয়ার সময় আগ্নেয়াস্ত্রের একটি গুলি মো: জসিম নামে এক যুবকের বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়।

এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: রাব্বী মিয়া (২২) নিহতের ঘটনায় এজাহার ভুক্ত (২০ নং আসামি) ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন। (১১-০৯-২০২৪)।

এছাড়াও তাঁতী লীগ নেতা আলী মিয়া’সহ তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিভিন্ন অপরাধে একাধীক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার ক্ষমতা কালীন সময়ে তাঁতী লীগ নেতা আলী মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন ও যুবলীগ নেতা আমিনুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরে ছিলো সাধারণ মানুষ। এসকল আসামিদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকছে, তা সুস্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।

এনসিপির এই নেতা বলেন, ঐকমত্য কমিশন যাদের আহ্বান করেছে, তারা দেশের শতভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। যদি এসব রাজনৈতিক দল জন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসতে পারত, তাহলে গণ–অভ্যুত্থানের আগে ৫৪ দল মিলে যে আন্দোলন করেছিল, সেটা ফলপ্রসূ হতো।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে এনসিপির পক্ষ থেকে তিনি এ কথা বলেন।

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে তিন ধরনের অংশীজন ছিল উল্লেখ করে আরিফুল ইসলাম বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে একটি স্টেকহোল্ডার, জনতা আরেকটি স্টেকহোল্ডার এবং সব শিক্ষার্থী মিলে আরেকটি স্টেকহোল্ডার ছিলেন। কিন্তু আলোচনায় শুধু রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু কোনো রাজনৈতিক দলের চেষ্টায় হয়নি উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, এখানে সব পেশাজীবী এবং জনতার অংশগ্রহণ ছিল, যাদের আসলে কোনো প্রতিনিধি নেই।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন দলকে কোনো একটি বড় দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কি না, সেটা নিয়ে তাঁর দল জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু একটি দলের বক্তব্যের প্রতি এসব দলের হ্যাঁ অথবা না–বোধক সমর্থন থাকে। যখনই বিপরীত কোনো মন্তব্য আসে, তখন সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করা হয়।

আজকের আলোচনায় জাতীয় সংসদে নারী আসন নির্ধারণের বিষয়ে এনসিপির মতামত তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, নারীদের আসন ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। তবে পদ্ধতি এবং সংখ্যা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে।’

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে ছিলাম। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে অর্থবিল ও আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে বলে আমরা মত দিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ