পকেটে মোবাইল নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ভাইরাল এই ক্রিকেটার
Published: 4th, May 2025 GMT
ক্রিকেট মাঠে কখনো কখনো এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা নিয়মের বাইরে হলেও দর্শকদের জন্য হয়ে ওঠে বিনোদনের খোরাক। ঠিক এমনই এক মজার ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল ল্যাঙ্কাশায়ারের অভিজ্ঞ পেসার টম বেইলি। গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে তিনি যা করলেন, তা ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
ঘরের মাঠে চলমান কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৫০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ল্যাঙ্কাশায়ার। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ৩৪ বছর বয়সী বেইলি। ইনিংসের ১১৪তম ওভারে রান নিতে গিয়ে ঘটে যায় অদ্ভুত ঘটনা—পকেট থেকে পড়ে যায় মোবাইল ফোন!
pic.
ফাইন লেগে শট খেলে দুই রান নেওয়ার সময় বেইলির মোবাইল ফোনটি পড়ে যায় আম্পায়ারের সামনেই। ধারাভাষ্যকাররা বিষয়টি চোখে পড়তেই মজা করে বলেন, ‘ওর পকেট থেকে কিছু একটা পড়েছে, সম্ভবত মোবাইল ফোন!’ এরপর আরও যোগ করেন, ‘আমরা হাসছি ঠিকই, তবে বিষয়টি কি রিপোর্ট করা হবে? খেলোয়াড় মোবাইল নিয়েই মাঠে!’
শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন বেইলি। তবে তার ব্যাটিং নয়, এই মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যাটিং করাটাই বেশি আলোচনায়। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে মজা করে লিখেছেন, ‘সম্ভবত ল্যাঙ্কাশায়ারের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বেইলি, তাই ফোন সঙ্গে নিয়েই নেমেছেন ব্যাট করতে!’
একজন সমর্থক মজা করে নির্বাসনের দাবি জানালেও, অন্য একজন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন—ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার রবি বোপারাও একবার ভুল করে পকেটে ফোন রেখেই মাঠে নেমেছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়ারেন বাফেটের বেড়ে ওঠা, জীবন, বিয়ে ও বিনিয়োগের যত কাহিনি
আগামী ৩০ আগস্ট তাঁর বয়স হবে ৯৪ বছর। এখনো খেতে পছন্দ করেন চিজ বার্গার আর চেরি কোকাকোলা। চুটিয়ে কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলেন। ‘ব্রেকিং ব্যাড’ ওয়েব সিরিজের দারুণ ভক্ত। ৬৫ বছর ধরে একটি বাসাতেই থাকেন। লেনদেন করেন নগদ অর্থে। আর যা আয় করেন, বিলিয়ে দেন তার প্রায় সবটাই।
বলছি ওয়ারেন বাফেটের কথা, বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি এমন এক মানুষ, যাঁর কোনো শত্রু নেই বললেই চলে। নামটা যেন কেবলই ভালো লাগা আর শ্রদ্ধার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে তাঁর গলায় প্রেসিডেনশিয়াল গোল্ড মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওয়ারেন বাফেট কেবল একজন শীর্ষ ধনীই নন, একই সঙ্গে অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ।’ ভালোবেসে তাঁকে ডাকা হয় ‘ওমাহার জাদুকর’।
ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আবার কেউ কেউ বলেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। বাফেট যেখানে বিনিয়োগ করেন আর যেভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান, সেটাকেই আদর্শ মানা হয়। আসলে বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি কিংবদন্তিতুল্য আর ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম শ্রেণির। ফোর্বস পত্রিকার ২০২৪ তালিকা অনুযায়ী বাফেটের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট কত জানেন তো? ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে, তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীদের একজন। ২০০৬ সালে তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখন পর্যন্ত দান করেছেন প্রায় ৫৬ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
যেভাবে বেড়ে ওঠাওয়ারেন বাফেটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহায়, ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট। হাওয়ার্ড ও লেইলা বাফেট দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হাওয়ার্ড দম্পতি বিয়ে করেছিলেন ১৯২৫ সালে। বড় বোন ডরিসের জন্ম ১৯২৮ সালে আর ছোট বোন বার্টি ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিন বছরের ছোট।
মা ও দুই বোনের সঙ্গে বাফেট