ইউএনওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে
Published: 4th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে আজ রোববার ‘সচেতন এলাকাবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.
বিক্ষোভকারীরা বলেন, বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও মফিজুর রহমানের বিরদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ‘সচেতন এলাকাবাসী’র ব্যানারে রোববার দুপুরে কারেন্টের বাজার এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে রওনা হন। মিছিলটি উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফটক পার হয়ে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনের সড়কের যাওয়ার পর বিএনপির কিছু লোক এসে তাঁদের বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালান।
ইউএনওর প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনের সড়কেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গ্যান স্কুলের ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জ শহরে দেওভোগে অবিস্থত ঐতিহ্যবাহি মগ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
রোববার বিকেলে স্কুলের গেইটের সামনে স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুৃচীতে অংশ নেয়। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে পুনরায় মানববন্ধন করে।
এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্য মামলা প্রত্যাহার করে এবং ছয়শিক্ষককে যে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করে স্কুলের ক্লাস নেয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গত ২৯ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ খান স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা দ্বরা প্রভাবিত হয়ে একটি কথিত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করত এসে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে দুব্যবহার করেন এবং শিক্ষকদের নানা ভাবে হুমকি দমকি দেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্দ হয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘিরে ধরলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের সহয়তায় স্কুল থেকে বের হয়ে যান।
পরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক বিনোদ কুমার দেবনাথ, ইংরেজির সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আব্দুল বাতেন, গণিত ও রসায়নের বিভাগের শিক্ষক মো: রাশেদুল ইসলাম, বাংলার শিক্ষক কামরুজ্জামান, ইংরেজির শিক্ষক খন্দকার হায়াৎ মাহমুদ,ইসলাম ধর্মের শিক্ষক আতিকুর রহমানসহ ছয়শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর কারনে ভয়ে আতংকে স্কুলের শিক্ষকরা গতকাল স্কুল খোলার পরও আমাদের ক্লাস নিতে আসেনি।
সামনে আমাদের পরিক্ষা কিন্তু শিক্ষকরা যদি আমাদের ক্লাস নিতে না পারে তবে আমার কিভাবে পড়াশোনা করবো। তাই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি করেন তারা।
স্কুলের শিক্ষার্থী সাবিহা আহমেদ জানান, মগ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়য়ের সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষিকা স্বৈারাচারী শেখহাসিনার দোসড় লায়লা আক্তারকে পাচঁ আগষ্টের পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন । তিনি মুলত প্রশাসন ও স্থাণীয় প্রভাশালীদের ম্যানেজ করে পুুনরায় স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করছেন। মুলত শিক্ষক শিক্ষাথীদের মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে লায়লা আক্তারকে পুনবাসনের চেষ্টা করছে।
অভিভাবক সোহেল রহমান বলেন, র্দীঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে। কিন্তু মামলা ও বরখাস্ত করার কারনে স্কুলের প্রধান প্রধান সাবজেক্টের শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারছেনা। এমন অবস্থায় স্কুলে বাচ্চা পাঠানো নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন বলে জানান।