আহ্বায়ক আলী আহসান, সদস্যসচিব আরেফিন মুহাম্মদ
Published: 9th, May 2025 GMT
ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া—এই চার বিষয় সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আপ বাংলাদেশের ৮২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘শহীদ পরিবারের প্রতি আমাদের শপথ—তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের রাজনীতি।’
বিকেল সাড়ে চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন এর প্রধান উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ নতুন সংগঠনটির আহ্বায়ক হয়েছেন। সংগঠনের ৮২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্যসচিব হয়েছেন আরেফিন মুহাম্মদ হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া রাফে সালমান রিফাত প্রধান সমন্বয়কারী, নাঈম আহমেদ প্রধান সংগঠক এবং শাহরীন ইরা মুখপাত্র হয়েছেন। তাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন। রাফে সালমান রিফাতও একসময় ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।
আপ বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘জুলাইকে কেন্দ্র করেই আমাদের এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। জুলাইয়ের শপথে আমরা আজ শপথ নিচ্ছি। শহীদ পরিবারের প্রতি আমাদের শপথ—তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের রাজনীতি। এ ছাড়া অন্য কোনো রাজনীতি আমরা করব না। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের রাজনীতি।’
আপ বাংলাদেশ মূলত একটি ‘পলিটিক্যাল প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, জুলাইয়ের স্পিরিটকে (চেতনা) কেন্দ্র করে জুলাইয়ের দাবিকে কেন্দ্র করে একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। আমরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটা কার্যকর অবস্থান নিতে চাই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তরুণদের একটি পক্ষের উদ্যোগে ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা। আজ শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহস ন জ ন য় দ র জন ত আম দ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে চাপে ফেলতে ভারতের কৌশলগত চাল এই ‘পুশইন’: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ‘পুশইন’ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। সংগঠনটি মনে করছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। বরং এটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির পটভূমিতে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে চাপে ফেলতে নয়াদিল্লির একটি কৌশলগত চাল।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টে ভারত-অনুগত দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বহুমুখী কূটনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এই পুশইনের ঘটনা সেই চাপ প্রয়োগের একটি নগ্ন প্রকাশ, যা রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ও প্রতিবেশীসুলভ আচরণের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
ভারতের এই ‘পুশইন’ প্রতিশোধের বহিঃপ্রকাশ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়ছে না, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিরও অবমাননা ঘটছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, এ ধরনের আচরণ প্রতিরোধে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক জবাব, জাতিসংঘসহ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোয় অভিযোগ দেওয়া এবং জাতীয়ভাবে একটি সাহসী ও তথ্যভিত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আলোকে নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তবে ভারতের অপকৌশল মেনে নিয়ে কোনোভাবেই বিষয়টিকে ‘মানবিকতার’ আবরণে লুকানো যাবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও তথ্য বিশ্লেষণ জোরদার করে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।