লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে বিল এলাকা। সেখানে যাতায়াতের নেই কোনো সড়ক। খুলনার ডুমুরিয়ায় সেই জনহীন বিলেই নির্মিত হয়েছে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস।  তবে উপজেলার মাগুরাঘোনায় নির্মিত ভূমি অফিসটি লোকালয়ের আশপাশেই। লোকবল সংকটের কারণে ভূমি অফিস দুটি নির্মাণের চার বছর পার হলেও এখনও তা চালু করা হয়নি। এতে ভূমি-সংক্রান্ত সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। 
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। আর সরকারি জমিতে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। ১ কোটি ২০ লাখ (একটি প্যাকেজে) টাকা ব্যয়ে দুটি  সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করা হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে ভবন দুটিতে নামজারি বা মিউটিশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি জমির তত্ত্বাবধান, ভূমি-সংক্রান্ত তদন্ত, তপশিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করে সরকার।
গুটুদিয়া ইউপির বিলপাবলা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মনিলাল বিশ্বাস জানান, জনবিরান বিল এলাকায় ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে, যার আশপাশে লোকালয় নেই। রয়েছে মৎস্য ঘের, ধানের জমি আর নির্জন বাগান। সেখানে বসতি গড়ে উঠতে অনেক বছর সময় লাগবে। 
নতুন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণে ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগে পড়বে বলে জানিয়ে উত্তর বিলপাবলা গ্রামের কৃষক সজল মণ্ডল বলেন, নতুন ভূমি অফিসে প্রবেশে রাস্তাও নির্মাণ করা হয়নি। কেউ কোনো ধরনের গাড়ি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অফিসটি চালু হলে সেবা পেতে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হবে। 
মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কার্যক্রম শিগগির শুরু না হলে এর জমি অন্যের দখলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাগুরাঘোনা গ্রামের আবুল হাসান বলেন, মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বিলের ভেতরে। সম্প্রতি সেখানে রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা হয়েছে। জনবল না থাকায় ভূমি অফিসের জমি অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে। 
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভূমি অফিসের দুটি ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। কিন্তু এখনও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে দুই ইউনিয়নের মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 
ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুর রহমান বলেন, ভূমি অফিস দুটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 
ভূমি অফিস চালু না হওয়ায় এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিস্ট কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জনবল ন য় গ অফ স র ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ সপ্তাহে (২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর) দেখে নিন সেরা সরকারি চাকরির খবর
  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • একদিকে ছাঁটাই, অন্যদিকে নিয়োগে তোড়জোড় ইসলামী ব্যাংকের
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক