যুদ্ধবিরতির কথা জানালেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Published: 10th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছে। আজ শনিবার কিছুক্ষণ আগে এক্স হ্যান্ডেলে এ কথা জানান ইসহাক দার।
ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান সবসময়ই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সাথে কোনো আপস করেনি।
এক্স হ্যান্ডেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বার্তা দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানান।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয়েছে। শুভবুদ্ধির ব্যবহার করে দুপক্ষ এই সিদ্ধান্তে আসায় তাদের অভিনন্দন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে লাশবাহকের স্বীকারোক্তি
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা এক তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ‘লাশবাহক’ আজ বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হকের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম আবু সাঈদ (১৯)। তিনি হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় তিন বছর ধরে হালুয়াঘাট থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহ আনা–নেওয়ার কাজ করতেন আবু সাঈদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার মধ্যরাতে (১৯ অক্টোবর) হালুয়াঘাটের একটি গ্রামে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্সের এই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটি মৃত্যুর আগে দুই পাতার সুইসাইড নোট লিখে রেখে যান। তাতে ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার দুর্ভাগ্য। আমার মৃত্যুর কোনো কারণ নেই। এই দুনিয়া থেকে আমার মন উঠে গেছে তাই আমি চলে গেছি,’ এ কথাসহ আরও নানা কথা লেখা ছিল। গত সোমবার সকালে নিহত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়।
পুলিশ বলছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মর্গে মরদেহ রেখে বের হওয়ার পর দ্বিতীয়বার মর্গে প্রবেশ করেন লাশ বহনকারী আবু সাঈদ। ওই সময় তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ করেন। সেদিন ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত পেলে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ সোমবার রাতেই আবু সাঈদকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে আজ বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
তরুণীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এন এম আল মামুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের সময় মরদেহে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়।
মরদেহ ধর্ষণের ঘটনা খুবই বিরল উল্লেখ করে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত পাওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তখন তারা মরদেহ আনা–নেওয়ার কাজ করা সাঈদকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আবু সাঈদ মরদেহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘একবার মরদেহ মর্গে রেখে আসার পর সুরতহালের কাগজ আনার জন্য দ্বিতীয়বার গিয়ে মরদেহ ধর্ষণ করে বলে আমাদের জানায় আবু সাঈদ। এমন ঘটনা সে প্রথমবার ঘটিয়েছে দাবি করে। মরদেহ ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে ধর্ষণ, লাশ অবমাননাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা শেষে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানেও সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।’