১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ
Published: 10th, May 2025 GMT
হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন। শনিবার (১০ মে) যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দুপুর ১২টার দিকে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
মো. হানিফ শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আদালত থেকে খালাস পান তিনি।
আজ সকাল ১০টা থেকে সারা দেশ থেকে আসা হানিফ পরিবহনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে মো.
আরো পড়ুন:
নিষিদ্ধ ঘোষণায় আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
তারেক রহমান
পলাতক অপশক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সজাগ থাকতে হবে
এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, মো. হানিফের বড় ভাই সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিবহন ব্যবসায়ী আলহাজ কফিল উদ্দিন, হানিফের ছেলে পরিবহন ব্যবসায়ী আরাত, ভাতিজা অভি, ভাগ্নে আকাশ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাহমখদুম বিমানবন্দরে ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ নিরাপত্তা মহড়া
রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা মহড়া ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন এলাকায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়া পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
মহড়ার কাল্পনিক দৃশ্যে দেখানো হয়, যশোর বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি আসে। কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি কল পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক ইমার্জেন্সি অপারেশসন সেন্টার সক্রিয় করেন। পরে রিস্ক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই একযোগে জরুরি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এই নিরাপত্তা মহড়ায় অংশ নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আরো কয়েকটি সংস্থা।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, “এ ধরনের মহড়া দুর্বলতা শনাক্ত, আন্তঃসংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তার ভাষায়, “সমন্বিত দক্ষতা থাকলে যে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি দ্রুত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।”
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ১৮ অক্টোবর অগ্নিকাণ্ডের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এভসেক, বিমানবাহিনী টাস্কফোর্স, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এপিবিএন, পুলিশ ও আনসারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় কার্গো টার্মিনাল থেকে টার্মিনাল-৩ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতিতে চুরি, লুট বা নাশকতার ঝুঁঁকি থাকলেও, সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্বের কারণে কোনো এমন ঘটনা ঘটেনি।”
মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি ও দক্ষতা প্রত্যক্ষ করে সন্তোষ প্রকাশ করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতিটি সংস্থাই প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।”
মহড়ায় অন-সিন কমান্ডার ছিলেন- বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক দিলারা পারভীন। তিনি জানান, প্রতি দুই বছরে একবার এমন পূর্ণাঙ্গ মহড়া আয়োজন বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির হুমকি, ছিনতাই, বোমা হামলা ও অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই এবং অংশীজনদের প্রস্তুতি বাড়াতেই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
এ মহড়ায় চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল। উপস্থিত ছিলেন- বেবিচকের সদস্য (প্রশাসন) এস এম লাবলুর রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মাদ নাজমুল হক, সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ