জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ করে বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের ২৫ দিন পর সোমবার (১২ মে) রাতে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এটি কার্যকর করার তারিখ ঘোষণা করবে।

এনবিআরকে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে আলাদা করতে গত ১৭ এপ্রিল খসড়া অধ্যাদেশে অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

অধ্যাদেশে শুধু রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।

সরকারি এই গেজেট জারির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ট্যাক্স ও কাস্টমস ক্যাডারেরর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক কিছুই রাখা হয়নি। এ বিষয়ে এনবিআর ভবনে পূর্ব নির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সেখানে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অধ্যাদেশের খসড়ায় রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ পরিবীক্ষণ করবে। আর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রশাসনিক অনুবিভাগের বিভিন্ন পদ অ্যাডমিন ক্যাডার ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ এবং কর আহরণ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। অর্থাৎ ‘পরিবীক্ষণ’ শব্দের পরিবর্তে ‘মূল্যায়ন’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। আর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রশাসনিক অনুবিভাগের বিভিন্ন পদ অ্যাডমিন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে। এই জনবল থেকে প্রয়োজনীয় জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে। এছাড়া, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত হয়ে তার জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগে ন্যস্ত হবে।

এর আগে সোমবার এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে দিনভর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে বিক্ষোভ করেছেন পাঁচ শতাধিক আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং ঢাকার বিভিন্ন কর অঞ্চল, কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক করেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ‍এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম।

ধাপে ধাপে প্রায় ৯ ঘণ্টা বৈঠক শেষে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এই প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৩টা থেকে এনবিআরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় অংশীজনের মতামত ছাড়া অধ্যাদেশের খসড়া পাস করায় নিন্দা জানানো হয়েছে। অধ্যাদেশে কী উল্লেখ করা হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ও ক স টমস ক য ড র র র কর মকর ত ভ গ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি, সিএসই–তে পড়াশোনায় আবেদন

বেসরকারি ব্যাংক এশিয়া পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ‘এন্টারপ্রাইজ সিস্টেম সাপোর্ট অফিসার (জেও–এসও)’ পদে জনবল নিয়োগে আবেদন শুরু হয়েছে ৮ মে। ব্যাংক এশিয়া এন্টারপ্রাইজ সিস্টেম সাপোর্ট অফিসার (জেও–এসও) পদে কতজন নিয়োগ দেবে, তা নির্ধারিত নয়। সৃজনশীল, আত্মপ্রণোদিত ও দলগত পরিবেশে কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই)।

আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার নতুন সময়সূচি জানা যাবে শিগগিরই৯ ঘণ্টা আগে

অভিজ্ঞতা

সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তিন থেকে সাত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।

আবেদনের বয়স: নির্ধারিত নয়।

আবেদনের শেষ সময়: ১৮ মে ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।

আবেদনের নিয়ম ও পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের নিয়ম, পদ্ধতিসহ বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রে বেশি নম্বর পেতে সাতটি কৌশল১০ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনবিআর ও আইআরডি বিলুপ্ত করে হচ্ছে দুটি বিভাগ, কী হবে তাদের কাজ
  • মধ্যরাতে বিলুপ্ত হলো এনবিআর
  • বিলুপ্ত হলো এনবিআর
  • মধ্যরাতে বিলুপ্ত হলো এনবিআর, অধ্যাদেশ জারি
  • কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না সরকারি হাসপাতালে, ফায়দা লুটছে ক্লিনিক
  • এক চিঠিতে ১২০০ সদস্যের পদায়ন
  • বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি, সিএসই–তে পড়াশোনায় আবেদন
  • রাজধানীর ছত্রিশ শতাংশ মানুষের হোল্ডিং নম্বর নেই: ডিএনসিসি প্রশাসক
  • আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের মধ্যে সমন্বয় চাই