ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান পিছিয়ে গেল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ফোন করে অনুষ্ঠান পিছিয়ে যাওয়ার খবর জানানো হয়। বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জরুরি বিষয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে এ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও আজ এ অনুষ্ঠানে তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল। পরে উপযুক্ত সময়ে দিন স্থির করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে জানানো হবে।

হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পর রিয়াজ হামিদুল্লাহ গত ৭ এপ্রিল নয়াদিল্লি আসেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও এক বার্তায় রাষ্ট্রপতির জরুরি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে আগামীকাল পরিচয়পত্র পেশ করছেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার১৪ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন প ছ র ষ ট রপত

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে

সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের দায় পরিশোধ হয়েছে ৫১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকায় নেমেছে। এর মানে এ পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা দেন ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখা হবে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে উল্টো ঋণ কমেছে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। প্রতি বছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও গত তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ উল্টো কমছে।

ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের বাইরেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে সরকার আরও ৪৬ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছর সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এ সময়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল, কী হবে মধ্যবিত্তের
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেলে যে যে অনলাইন সেবা
  • ঘুষ দিলে এনআইডির জটিল সংশোধনও হয় সহজে
  • সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে
  • সঞ্চয়পত্রে কমল মুনাফার হার 
  • দ্বৈত জন্মনিবন্ধনের সমস্যা নিয়ে দেড় বছর ঘোরার পর জানলেন কী করতে হবে