মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেন ১২৬ বিদেশি, ভারত–পাকিস্তান–যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশের কতজন
Published: 20th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ১২৬ বিদেশি শিক্ষার্থীকে কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা–১ শাখার ওই নোটিশে বলা হয়েছে, সার্ক ও নন–সার্ক কোটায় দেশভিত্তিক মেধাক্রম ও পছন্দের ভিত্তিতে এই শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। সার্ক কোটায় এমবিবিএসে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতের ২২, পাকিস্তানের ২১, নেপালের ১৯, ভুটানের ২০ ও শ্রীলঙ্কার ১২ শিক্ষার্থী রয়েছেন। আর বিডিএসে সার্ক কোটায় পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান থেকে দুজন করে মোট ছয়জন ভর্তির সুযোগ পেলেন।
এ ছাড়া নন–সার্ক কোটায় এমবিবিএসে ভর্তির সুযোগ পেলেন ফিলিস্তিনের ১৫, মালয়েশিয়ার ৭, যুক্তরাষ্ট্রের ১ ও কানাডার ১ শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে বিডিএসে নন–সার্ক কোটায় ভর্তির সুযোগ পেলেন মালয়েশিয়ার দুই শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে নন–সার্ক কোটায় ২৬ বিদেশি শিক্ষার্থী কলেজ বরাদ্দ পেয়েছেন।
আরও পড়ুনচীনের মফকম বৃত্তি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আইইএলটিএসে প্রয়োজন ৬৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাস বা মিশনের মাধ্যমে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
**বিদেশি শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখুন এখানে
আরও পড়ুনএসএসসি–এইচএসসির বোর্ডসেরাদের ১০ ও ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, যেভাবে আবেদন ১৯ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নন স র ক ক ট য় ভর ত র স য
এছাড়াও পড়ুন:
বিহারে কত ‘বিদেশি’ পাওয়া গেল, জবাব দিতে পারল না মোদি সরকার
ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) উদ্দেশ্য ভুয়া, অবৈধ ও অনুপ্রবেশকারী ভোটার চিহ্নিতকরণ হলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিহারে কতজন ‘বিদেশি’ চিহ্নিত করেছে, তা জানা গেল না। ভারতীয় সংসদে এসআইআর নিয়ে দুদিন ধরে আলোচনা চললেও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছুই আলোকপাত করা হয়নি।
এসআইআরের মাধ্যমে শাসক দলের হয়ে ইসির ভোট চুরির যে অভিযোগ বিরোধীরা করে আসছেন, তার রাজনৈতিক জবাব দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, বিহারে কতজন ‘বিদেশি’ নাগরিককে চিহ্নিত করা গেছে।
বিরোধীরা এ বিষয়ে কিছু ‘তথ্য’ হাজির করলেও সরকার জানিয়েছে, কে বিদেশি কিংবা কে ভারতীয় নাগরিক নন, তা নির্ণয়ের ভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। নির্বাচন কমিশনের নয়। কাজেই ভোটার তালিকা সংশোধন করার অধিকার ইসির থাকলেও তারা নাগরিকত্ব নির্ধারণের অধিকারী নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিতর্কের নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে বিতর্কের জবাবে ভাষণে এই বিষয়ে কিছুই জানাননি।
নির্বাচন কমিশন নীরব থাকলেও সংসদীয় বিতর্কে বিরোধীরা বারবার কমিশনের মূল লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে গেছে। সরাসরি অভিযোগ এনেছে শাসক দল বিজেপির হয়ে ইসির ‘ভোটচুরি’ নিয়ে।
লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন। যদিও অমিত শাহ তা গ্রহণ করেননি। বরং বিতর্কের সময় বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে ‘অসংসদীয়’ শব্দ উচ্চারণ করে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
বিরোধীদের তোলা মূল প্রশ্নগুলোর উত্তর না পেয়ে এবং অমিত শাহের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে বিরোধীরা লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। সেই সময়েও অমিত শাহ বিরোধীদের বিদ্ধ করে বলেন, ওদের মূল লক্ষ্য ‘ঘুসপেটিয়াদের’ (অবৈধভাবে ভারতে ঢোকা ভিনদেশি নাগরিক) ভোট পেয়ে ক্ষমতায় থাকা। সেই কারণেই তারা এসআইআরের বিরোধিতা করছে। কারণ, এসআইআরের মধ্য দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
বিহারের ‘বিদেশিদের’ সংখ্যা নিয়ে কোনো জবাব দিলেন না অমিত শাহ