পিসিপির নেতৃত্বে রুমেন চাকমা ও সুপ্রিয় তঞ্চংগ্যা
Published: 21st, May 2025 GMT
সন্তু লারমা সমর্থিত ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রুমেন চাকমা সভাপতি, সুপ্রিয় তঞ্চংগ্যা সাধারণ সম্পাদক ও শৈসানু মারমা সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার রাঙামাটিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ২৯তম কাউন্সিলের মাধ্যমে এ নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়। পিসিপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমার পাঠানো বিবৃতি থেকে জানা যায়, দিনব্যাপী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও প্রতিনিধি সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী কমিটির অর্থ সম্পাদক টিকেল চাকমা।
অধিবেশনে আন্তর্জাতিক, জাতীয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সাংগঠনিক অবস্থা ও আর্থিক প্রতিবেদন সংবলিত সামগ্রিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা।
দ্বিতীয় অধিবেশনে পিসিপির বিদায়ী কমিটির সভাপতি নিপন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ছাত্রবিষয়ক সহসম্পাদক জুয়েল চাকমা।
অধিবেশনে বিদায়ী কমিটির পক্ষে বক্তব্য দেন পিসিপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা। অধিবেশনে পিসিপির বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি খোকন চাকমা ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট ২৯তম কেন্দ্রীয় কমিটি প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত কমিটিকে উপস্থিত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন চ কম কম ট র গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সহসভাপতির মামলা
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমা ও সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন একই কমিটির সহসভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী। জমি ও ভবন দখল এবং ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে গত ২৬ জুন জেলা সদরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।
আজ রোববার মামলাটির বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজীব চন্দ্র ধর প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের ২৯ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আবাহনী ক্রীড়াচক্রের জেলা সভাপতি দাবি করা আবদুর রহিম চৌধুরী মামলার আবেদনে উল্লেখ করেন, ১৯৮৭-৮৮ সালে বাজার ফান্ড থেকে আবাহনীর নামে সি-২২৬ নম্বর প্লটে ৩৬০ বর্গফুট জমি বন্দোবস্ত নেওয়া হয়। পরে তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নিচতলায় দোকান এবং দ্বিতীয় তলায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালে মাসিক ১ হাজার ৮০০ টাকায় ভাড়া চুক্তি হলেও জেলা আওয়ামী লীগ কোনো ভাড়া পরিশোধ করেনি।
বাদীর দাবি, ২০২৩ সালে ওই জমির একাংশ জেলা আওয়ামী লীগের নামে দলিল করে নেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতের কাছে দলিল বাতিল ও জমির মালিকানা পুনরায় তাঁর নামে স্বত্ব ঘোষণা চেয়েছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বাজার ফান্ডের প্রশাসক পদে থেকে নিজেই নিজের নামে জমির বন্দোবস্ত অনুমোদন দেন। লক্ষ্মীপদ দাশও তখন জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আবদুর রহিমের দাবি, তাঁকে খুশি রাখার কথা বলে জেলা পরিষদ থেকে আবাহনীর জমিতে ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের আশ্বাস দেন ক্যশৈহ্লা ও লক্ষ্মীপদ। ওই প্রকল্প অনুমোদনের খরচ হিসেবে তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হলেও পরে প্রকল্প বাতিল করে ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তবে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ১৯৮৭ সালের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল কান্তি দাশ বলেন, সে সময় কমিটির সভাপতি ছিলেন বর্তমানে জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিংপ্রু জেরী ও সহসভাপতি ছিলেন আবদুর রহিম। তাঁর জানা মতে, এরপর আর কোনো কমিটি হয়নি। রহিম কীভাবে সভাপতি হলেন, তা জানা নেই।
আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেননি। তাঁর কাছে থাকা আবাহনী কমিটি, জমির দলিল ও ভাড়ার নথিপত্র হারিয়ে গেছে। তবে দাবি করেন, ১৯৯২ সালে আবাহনীর নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমা বর্তমানে পলাতক এবং সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ কারাগারে আছেন। এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা পরিষদের বাজার ফান্ড শাখার কর্মকর্তারা জানান, আবাহনী ক্রীড়াচক্রের জমির একাংশ ২০২৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খাজনা না দেওয়ায় আবাহনী ক্রীড়াচক্র ও আওয়ামী লীগের জমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। ওই জমিতে বাজার ফান্ড কর্তৃপক্ষ ও বাজার চৌধুরীর কার্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।